রংপুরের হারাগাছে পানি নিষ্কাশনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানিবন্দি হয়ে আছে পাঁচ শতাধিক পরিবার। গেল কয়েকদিনের ঝড়-বৃষ্টিতে এই দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। চলাচলের রাস্তা, অলিগলিসহ ঘরবাড়ি এখন হাঁটু জলেমগ্ন। এমন জলাবদ্ধতায় দূষিত পানিতে রোগী-জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার সাথে বেড়েছে ডেঙ্গু মশার আতঙ্ক।
মঙ্গলবার (২ জুন) দুপুরে হারাগাছের দুই নম্বর ওয়ার্ডের দর্জিপাড়া এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। পানিবন্দি স্থানীয়রা দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা সহ ড্রেন নির্মাণের দাবি জানিয়েছে। এদিকে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এই দুর্ভোগ হচ্ছে বলে জানিয়েছে হারাগাছ পৌর মেয়র।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিড়ি শিল্পখ্যাত হারাগাছের দর্জিপাড়ায় বিড়ি শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের বসবাস। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ জীবন-জীবিকার তাগিদে তাদের বাহিরে বের হতে হয়। কিন্তু সেখানে পানি নিষ্কাশনে কোনো ব্যবস্থা নেই। হাঁটু পানিতে ডুবে থাকা রাস্তা-অলিগলি হয়ে চলাচল করছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ সাধারণ লোকজন। প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার এই দুর্ভোগের শিকার। তাদেরকে এখন সামান্য ঝড়-বৃষ্টিতেই দিনের পর দিন পানিবন্দি থাকতে হচ্ছে।
সেখানকার পানিবন্দি বিশাল, সিয়াম, রোজেনা, সাথী বেগম জানান, দীর্ঘদিন যাবত তাদের বাসার আশপাশে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আছে। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অনেকের বাসার টয়লেট সংযোগের পানিসহ ময়লা পানিতে নোংরা অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এখানে পানিতে ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে দুর্গন্ধ ছাড়া বাতাসে রোগ-জীবানু ছড়াচ্ছে। সাথে মশার উপদ্রবও বাড়ছে।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ডেঙ্গু মশার ঝুঁকি বাড়ছে দাবি করেন স্থানীয় এরশাদুল, বুলবুল ও মোশারফ। তারা বলেন, এখানকার কমবেশি সবার বাড়ি হাট পানিতে ডুবে আছে। আমরা পানিবন্দি জীবনযাপন করছি। দিনে রাতে মশার কামড়ে সবাই অতিষ্ট। এখন নতুন করে করোনার সাথে ডেঙ্গু মশার ভীতি তৈরি হয়েছে। এনিয়ে মেয়র-কাউন্সিলর কারো কোনো পদক্ষেপ নেই।
ড্রেন নির্মাণের উদ্যোগ নিতে পৌর মেয়রকে একাধিকবার জানানোর পরও এমন পরিস্থিতিতে অসহায় জীবনযাপন করছেন পানিবন্দি এসব মানুষ। তবে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের আশ্বাস দিয়েছেন পৌরসভার মেয়র মো: হাকিবুর রহমান।
তিনি জানান, ওই এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দি মানুষদের সাথে কথা বলে যত দ্রুত সম্ভব পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।