ভৈরব পৌর এলাকার গাছতলা ঘাটের মৃত আ. জব্বার মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী মো. সিদ্দিক মিয়া (৬৫) স্ত্রী পুত্র কর্তৃক অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর ও তার নিকট আত্মীয়ের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ছিদ্দিক মিয়ার সম্পতি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী, পুত্র মিলে ভাড়াটিয়া কিলার গ্র“পের সহযোগিতায় ১৯ মে রাত ২টার দিকে ৫/৬ জন মুখোশধারী লোক একটি মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ৩০ মে শনিবার এলাকার কাউন্সিলর ও নিকট আত্মীয়স্বজন ছিদ্দিক মিয়ার স্ত্রী ও পুত্র মামুন মিয়াকে চাপ দিলে তারা অপহরণের কথা অস্বীকার করে বলেন তাকে নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ছিদ্দিক মিয়াকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হবে। ৪৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী সোহাগ, সাবেক কাউন্সিলর মো. আরিফুল ইসলাম, সাংবাদিক নাজির উদ্দিনসহ তার নিকট আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী ছিদ্দিক মিয়াকে দেখতে তার বাসভবনে গেলে মামুন ও তার মা জানান, কয়েক মাস পরে ছিদ্দিক মিয়াকে আনা হবে। এখন নিয়ে আসা সম্ভব না। এ সময় তার নিকট আত্মীয়স্বজন উত্তেজিত হয়ে পড়লে স্থানীয় কাউন্সিলর ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাদেরকে নিভৃত করে। এবং এ বিষয়ে তার নিকট আত্মীয় ও কাউন্সিলর ছিদ্দিক মিয়াকে ফিরিয়ে আনার জন্য একটি লিখিত অভিযোগ ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানার নিকট প্রেরণ করা হয়। স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী সোহাগ ও সাবেক কাউন্সিলর মো. আরিফুল ইসলামসহ তার নিকট আত্মীয়রা জানান, তার বোন বিদেশ থেকে আমাদেরকে একাধিকবার ফোন করে তার বাবার এ অপহরণের ঘটনা আমাদের জানান এবং তার বাবাকে উদ্ধার করে বাড়িতে আনার বিষয়ে বার বার তাগদা দেন। ছিদ্দিক মিয়া আমাদের নিকট আত্মীয় হওয়ায় বিষয়টি আমাদের দেখার দায়িত্ব। আমরা প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছি ছিদ্দিক মিয়াকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে ফিরিয়ে এনে সালিশের মাধ্যমে এর একটি সুষ্ঠু সুরাহা করার দাবী জানান তারা।
এদিকে অপহরণের কথা অস্বীকার করে ছিদ্দিক মিয়ার পুত্র মামুন জানান, আমার পিতা এক তরুণীর সাথে প্রেমাসক্ত হওয়ার কারণে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রত্যয় নামে একটি মাদকাসক্ত চিকিৎসা ও পুনবার্সন কেন্দ্রে শোধরানোর জন্য পাঠানো হয়েছে। সে আরো জানায়, এলাকার একটি কুচক্রিমহল আমার পিতা অপহরণের দায়ে আমার ও আমার মায়ের নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রতিকার চেয়ে একখানা আবেদন করেছি।