ঢাকা থেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে এসে পরলোকগমন করা ব্যক্তির লাশ সৎকারে পরিবারের সদস্য কিংবা গ্রামের কেউ এগিয়ে আসেননি। খবর পেয়ে বুধবার বেলা এগারোটার দিকে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় লাশ সৎকার করেছেন জেলার গৌরনদী উপজেলার মানবতার ফেরিওয়ালাখ্যাত প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত মাহিলাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু ও তার করোনা প্রতিরোধ টিমের সদস্যরা।
ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু মৃতের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে জানান, পাশ্ববর্তী বাটাজোর ইউনিয়নের চন্দ্রহার গ্রামের অজিত কুমার বৈদ্য পুত্র গার্মেন্টস শ্রমিক নির্মল বৈদ্য (৪৮) গত ১ মে করোনার উপসর্গ নিয়ে ঢাকা থেকে সরাসরি বরিশাল শেবাচিমে হাসপাতালের ল্যাবে নমুনা দিয়ে চন্দ্রহার গ্রামের বাড়িতে আসেন। পরবর্তীতে তিনি নিজ গৃহে হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে বুধবার সকালে পরলোকগমন করেন।
চেয়ারম্যান আরও জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে নির্মল বৈদ্যর মৃত্যুর বিষয়টি ছড়িয়ে পরলে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। ফলে তার লাশ সৎকারে পরিবারের সদস্যসহ ওই ইউনিয়নের কেউ এগিয়ে আসেননি। পরবর্তীতে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহানের মাধ্যমে জানতে পেরে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় মাহিলাড়া ইউনিয়ন করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সুজিত কুমার দাস, অমল হাজারী, পলাশ মন্ডল, গ্রাম পুলিশ জসিম বেপারীর সহায়তায় দুপুরে লাশ সৎকার করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর উদারতা সত্যি আমাকে মুগ্ধ করেছে। তিনি আরও বলেন, লাশ সৎকারে যাওয়া সকল সদস্যদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রদান করা হয়েছে।