নওগাঁর মান্দায় জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে কহির উদ্দিন নামে একব্যক্তির একটি বসতঘর আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামে অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে। আগুনে তার বসতঘরের সমুদয় আসবাবপত্র পুড়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, জমি নিয়ে কহির উদ্দিনের সঙ্গে একই গ্রামের আরিফ হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে উভয় পরিবারের মাঝে একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে। এ ছাড়া গতবছরের ১৮ ডিসেম্বর কহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে টাকা ছিনতাইয়ের একটি মামলা দায়ের করেন প্রতিপক্ষ আরিফ হোসেন। ওই মামলায় কহির উদ্দিনসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছিল। এসব বিরোধের জের ধরে অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে দাবি করেন তারা।
ভুক্তভোগী কহির উদ্দিন জানান, ‘গত সোমবার সাপ্লাইয়ের পানি নেয়ার জন্য আরিফ হোসেনের পরিত্যক্ত একটি জমির আইলের ধার দিয়ে মাটি খনন করে পাইপ স্থাপনের কাজ করছিলাম। এ সময় আরিফ হোসেনসহ অন্যরা সেখানে এসে বাধা দেন। এনিয়ে উভয়ের মাঝে বাকবিতন্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার রাতে খাওয়া-দাওয়া করে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। গভীর রাতে আগুনের তাপে ঘুম ভেঙে যায়। দেখি ঘরের ভেতরে দাউ-দাউ করে আগুন চলছে। এরপর বাইরে এসে চিৎকার শুরু করলে এলাকার লোকজন এসে আগুন নিভিয়ে দেন। তিনি দাবি করেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ আরিফ গংরা সপরিবারে আমাদের পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিল।’
তবে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রতিপক্ষ আরিফ হোসেন। তিনি দাবি করেন, ‘কাউকে কিছু না জানিয়ে কহির উদ্দিন আমাদের বাগানের ধার দিয়ে মাটি খননসহ পানি সাপ্লাইয়ের পাইপ স্থাপনের চেষ্টা করে। বাধা দেয়ায় কহির উদ্দিন গংরা আমার ভাই আবদুল গফুরকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেন। তিনি এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
মান্দা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, সংবাদ পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।