জনদূর্ভোগের আরেক নাম আবাদপুকুর-আদমদীঘি সড়ক। আদমদীঘি ও রাণীনগর এই দুই উপজেলার মধ্যে অবস্থিত হওয়ায় এই জনগুরুত্বপূর্ন সড়কের অবস্থা খুবই বেহাল। এলজিইডির আওতায় মোট ১৩ কি:মি: রাস্তার মধ্যে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার অধিকাংশ অংশই খুবই বেহাল। আদমদীঘি সদর থেকে রাণীনগর অংশের মধ্যে পারইল ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। যেন সড়ক নয় বড় বড় পুকুর।
রাণীনগর উপজেলার বাণিজ্যিক রাজধানী আবাদপুকুর থেকে এই সড়ক দিয়ে নওগাঁ সদর ও আদমদীঘি উপজেলা খুব কাছে হওয়ায় এই অঞ্চলের প্রায় শতাধিক গ্রামের মানুষরা এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করাসহ ধানসহ পন্য আনা-নেওয়ার কাজ করে থাকেন। যার কারণে এই অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষকেই প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। অপরদিকে আদমদীঘি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বছর খানেক আগে তাদের অংশের খারাপ রাস্তাটি নামেমাত্র সংস্কার করা হয়। সংস্কারের বছর খানেক পরই আবার আদমদীঘি রেলওয়ে স্টেশন, চৌমুহনী বাজারসহ অধিকাংশ স্থানেই পাকা উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানা-খন্দকে। স্থানীয়দের অভিযোগ সড়ক সংস্কার কাজে নিম্ন মানের উপকরন ব্যবহার করে তাড়াহুড়ো করে পাঁকা করার কারণে আবার সড়কে বড় বড় খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। পারইল গ্রামের বাসিন্দা মমতাজ উদ্দিন, খাস-পারইল গ্রামের আব্বাস আলীসহ অনেকেই বলেন দীর্ঘ দুর্ভোগের পর প্রায় এক বছর আগে এই সড়কের সংস্কার কাজ করা হয়। কিন্তু সংস্কার কাজে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে আবার সড়কের অধিকাংশ স্থানেই নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানা-খন্দকের। প্রতিদিনই এইসব গর্তে যানবাহন পড়ে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনার। আর পথচারীদের ভোগ করতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ ও কষ্ট। রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী শাইদুর রহমান মিঞা বলেন এই সড়কের প্রায় সাড়ে ৮ কি:মি: রাস্তার খানা-খন্দক ও দুই পাশে প্রসস্ত করার জন্য আগামী বছরের বাজেটে চাহিদা প্রদান করা হয়েছে। আশা রাখি বরাদ্দ পেলেই এই জনগুরুত্বপূর্ন রাস্তাটির সংস্কার ও প্রসস্ত করনের কাজ শুরু করা হবে। আদমদীঘি উপজেলা প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান বলেন পূর্বে এই রাস্তাটি শুধু কার্পেটিং করা হয়েছিলো যার কারণে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে আবার তা বেহাল হয়ে পড়েছে। তবে আগামী অর্থ বছরে এই রাস্তাটির নকশা পরির্বতন করে দীর্ঘস্থায়ী করার লক্ষ্যে নতুন করে চাহিদা পত্র দেওয়া হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলেই নতুন করে এই রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।