লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ"র বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (আরইআর এমপি প্রকল্পের) অধীনে মাটি কাঁটার কাজে নারী শ্রমিক নিয়োগে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সৃষ্ট ঘটনায় ইছাপুর ইউনিয়নের ৩ নারী শ্রমিক ২জুন বুহস্পতিবার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এ-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
সুত্রে জানায়, রাস্তায় মাটি কাঁটার কাজে ৪ বছর মেয়াদি চুক্তি ভিত্তিক প্রতি ইউনিয়নে ১০জন করে নারী শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে ইছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ১৭জন নারী শ্রমিকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ১০হাজার টাকা আদায় করে। এদের মধ্যে ১০ জনকে নিয়োগ দেয় এলজিআরডি। বাকী সাত জনকে নিয়োগ না দেওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে চেয়ারম্যান সহিদ উল্যা বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। ভুক্তভোগী নারী শ্রমিক সংগীতা রানী দাস,ফাতেমা বেগম ও কাজল বেগম জানান,চেয়ারম্যান রাস্তার মাটি কাঁটার কাজ দিবে বলে আমাদের কাছ থেকে মহিলা মেম্বার কমলার উপস্থিতিতে ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছে কিন্তু সে টাকা ফেরত ও চাকুরীর জন্য ইউএনও অফিসে অভিযোগ করেছি।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ ঘুষ নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, উপজেলা এলজিআরডি অফিস আমার কাছে তালিকা চাইলে আমি ১৭ জনের তালিকা দিয়।এতে তারা যাচাই করে ১০ জন নিয়োগ দেয়। যে ৭ জন নিয়োগ না পায়নি,তারা স্বার্থন্বেষী মহলের ইন্দনে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান বলেন, নারী শ্রমিকদের দায়ের করা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।