গতকাল বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার আলহেরা আলিম মাদ্রাসা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা কক্ষে ম্যানেজিং কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার জমিদারদের ঐতিহাসিক টাউন নওয়াপাডা নীল সরেবর দিঘির পাড়ে বর্তমানে নোয়াপাড়ার পানবাজারে অবস্থিত এই মাদ্রাসাটি। স্থানীয় কয়েকজন ধর্মপ্রাণ মুরব্বি প্রায় দুই যুগ পূর্বে দ্বীন শিক্ষার আলোকে কিছু বাঁশ ও গোলপাতা দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। পরবর্তীতে কিছু ধর্মপ্রাণ শিক্ষিত মুসলমানদের সাহায্যের মাধ্যমে এতিম ছাত্রদের নিয়ে এতিমখানা সহ দাখিল মাদ্রাসার অনুমোদন করানো হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে কয়েক বার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থান লাভ করায় সুনাম ছড়িয়ে পড়ে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন প্রান্তে। এই প্রতিষ্ঠানটিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সবচেয়ে যিনি বেশি অবদান রেখেছেন তিনি হলেন ওই মাদ্রাসার সভাপতি হ্যামকো গ্রুপ অফ কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। তিনি এ মাদ্রাসার আলিম ক্লাস চালুর জন্য প্রায় এক যুগ যাবৎ তার নিজস্ব ফান্ড থেকে সকল শিক্ষকগণকে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা বেতন দিয়ে আসছেন। গতকাল জরুরি সভায় এই মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এতিমের টাকা আত্মসাৎ এর কথা বলে আমাকে নিয়ে একটি কুচক্রী মহল যে বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িযেেেছ তা সম্পূর্ণ মিথ্যা,বানোয়াট,ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সভা চলাকালে একপর্যায়ে তিনি কেঁদে ফেলে বলেন, তার দুই সন্তানের দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার বিষয় নিয়ে যারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে তা খুবই মর্মাহত এবং এতে এ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারেন বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। এ সময় মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্য ও স্থানীয় সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।