পাবনার পৌর সদরের দিলালপুর মহল্লার একই পরিবারের তিনসদ্যকে হত্যা করেছে দূরবৃত্তরা। ওই বাসা বাড়ি থেকে বাবা, মা ও মেয়েসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতরা হলো রাকাবের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল জব্বার (৬০) তার স্ত্রী ছুম্মা খাতুন (৫০) ও মেয়ে সানজিদা খাতুন (২৪)।
স্থানীয়রা জানান, এই বাড়ি থেকে পঁচা দুরগন্ধ বাহিরে আসছিলো। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয় তারা। পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে বাড়ির চারপাশে ঘুড়ে জানালা দিয়ে ভেতরে মরাদেহ দেখতে পায় তারা।
পাবনা জেলা পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটি ডাকাতির ঘটনা হতে পারে। ডাকাতরা ডাকাতি করে তাদেরকে কুপিয়ে ও স্বাসরোধ করে হত্যার পর বাড়ির সব মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তবে ঘটনাটি দুই থেকে তিন দিন আগে ঘটেছে বলে ধারনা করছে পুলিশ। পুলিশের দেয়া সর্বশেষ তথ্যমতে রাজশাহী থেকে ক্রাইমবান্সের বিশেষ টিম ডাকা হয়েছে। তারা আসার পরে ওই মৃত দেহ বাহিরে আনা হবে জানিয়েছেন পুলিশ। ঘটনাস্থলে পাবনার পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন সকল কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সর্বশেষ তথ্যমতে বিকেল সারে তিনটার দিকে বাড়ির মূল ফটকের তালা ভেঙ্গে পুলিশের পাবনা ক্রাইম বান্সের সদস্যরা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। দোতলা বিশ্লিষ্ঠ এই বাড়িতে ওই কৃষি কর্মকর্তা বছর তিন হলো ভাড়া রয়েছেন বলে জানা গেছে। ওই বাড়িতে আর কোন ভাড়াটিয়া বর্তমানে নেই। বাড়ির মূল মালিক দেশের বাহিরে থাকেন বলে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে। এই ঘটনায় স্থানীয় সাধারন মানুষদের মধ্যে বেশ আতঙ্ক বিরাজ করছে।
হত্যা কান্ডের শিকার ওই বাড়ির সদস্য আবদুল জব্বার রাজশাহী কুষি উন্নয়ন ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। তার স্ত্রী মোছাঃ ছুম্মা খাতুন গৃহিনী ও একটি পালিত মেয়ে সাজজিদা খাতুন পাবনা কালেক্টটরেট স্কুলে ৭ তম শ্রেনীতে অধ্যয়ন করতো বলে পরিবার সূত্রে পাওয়া গেছে।