বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার চাঙ্গইর থেকে চাঁপাপুর পর্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ ৩ কিলোমিটার রাস্তা নিয়ে দূর্ভোগে ১০ গ্রামবাসী। এই রাস্তা পাকা না হওয়ায় ৪০ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ ২০ হাজার মানুষ।
এলাকাবাসী জানায়, কাঁচা এই রাস্তাটি বৃষ্টিপাতের কারণে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে কাদামাটিতে একাকার হয়ে যায়। ঘন বর্ষার সময় জল কাদায় শিশু ও বয়স্কদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে এ রাস্তা। ফলে স্বাভাবিকভাবে চলাচলের আর উপায় থাকে না। বর্ষাকালে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন নিমাইদীঘি ডিগ্রী কলেজ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও গ্রামের হাজার হাজার লোক চলাচল করে।
এছাড়া কর্দমাক্ত রাস্তা পাড়ি দিয়েই হাট-বাজারে যেতে হয় এলাকাবাসীকে। নির্বাচন এলেই জনপ্রতিনিধিরা এ রাস্তাটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু নির্বাচনের পরে আর কেউ এর খোঁজ রাখেন না। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, নেতা আসে নেতা যায়; কিন্তু এ রাস্তা পাকা হয় না। বর্ষা এলে প্রতিবছরই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে পড়ে। হাঁটুসমান কাদামাটি পেরিয়েই এ রাস্তা দিয়ে যেতে হয় তাদের।
থালতা মাজগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মতিন বলেন, রাস্তাটি ৪০ বছর ধরে কাঁচাই রয়ে গেল। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে রাস্তার অবস্থা এতই খারাপ হয় যে, এই এলাকার স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীসহ ১০ গ্রামের মানুষ ঠিকমতো চলাচল করতে পারে না। এমপি বদলায় কিন্তু বদলায় না আমাদের এলাকার দুর্ভোগের চিত্র।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শা-রিদ শাহনেওয়াজ বলেন, চাঙ্গইর থেকে চাঁপাপুর পর্যন্ত প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। সেই প্রকল্প পাস হলেই টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হবে।
এ প্রসঙ্গে বগুড়া-৪ আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।