নীলফামারীর ডিমলায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় পুলিশের উপড় হামলার ঘটনায় মূল আসামীসহ গ্রেফতার দুই।
বৃহস্পতিবার সন্ধায় উপজেলার খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের টুনিরহাট বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে বর্তমান করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারী নির্দেশ উপেক্ষা করে নির্ধারিত সময়ের পরেও খাবার হোটেল খোলা রেখে ব্যবসা পরিচালনা করতে থাকায়। পুলিশ হোটেল বন্ধ করতে বল্লে হোটেল মালিকসহ তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে পুলিশের উপড় হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় চার পুলিশ সদস্য গুরুত্বর আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারী মিলন আহম্মেদ বৃটিশ (৪০) টুনিরহাট বাজারের (মিম হোটেলের মালিক) ও ওই ইউনিয়নের দোহলপাড়া গ্রামের মিনু মিয়ার ছেলে। ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে সরকারী কাজে বাধা প্রদান ও পুলিশ আহতের ঘটনায় ডিমলা থানার এসআই বাকিনুর ইসলাম বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে ১৬ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৩০ জনকে আসামি করে ডিমলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার মূল আসামি মিলন আহম্মেদ বৃটিশ ও ছাতনাই বালাপাড়া গ্রামের কলিম উদ্দিনের ছেলে আলম মিয়া (৪৮)কে গ্রেফতার করে শনিবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরন করেন। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট জয়শ্রী রানী রায় বলেন, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় সরকারী নির্দেশ উপেক্ষা করে নির্ধারিত সময়ের পরেও ওই ব্যবসায়ী হোটেল খোলা রাখলে পুলিশ তাকে হোটেল বন্ধ করতে বলায়। হোটেল ব্যবসায়ীসহ তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালালে চার পুলিশ সদস্য আহত হয়।