পাবনার সুজানগরে গত দুইদিনের ভারি বর্ষণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলের পাকা ধান ডুবে যাওয়ায় কৃষক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জানা যায় এ বছর উপজেলার শারীরভিটা, বস্তাল, ভাদুরভাগ এবং স্বাগতাসহ বেশ কিছু মৌজার জমিতে ব্যাপক ইরি-বোরো ধান আবাদ করা হয়। ইতিমধ্যে এলাকার কৃষকরা ওই ধান কাটতে শুরু করেছেন। কিন্তু গত দুইদিনের ভারি বর্ষণে ওই সকল মৌজার নিম্নাঞ্চলের শত শত বিঘা পাকা ধান ডুবে গেছে। সেই সঙ্গে ডুবে গেছে কিছু কিছু নিম্নাঞ্চলের পাট। উপজেলার শারীরভিটা গ্রামের বাদশা শেখ বলেন সরকারিভাবে নির্মিত অধিকাংশ পানি নিষ্কাশন ক্যানাল গুলো ভরাট হয়ে গেছে। কিছু কিছু ক্যানাল ভরাট করে এলাকার প্রভাবশালী লোকজন বাড়ি-ঘর নির্মাণ করেছে। ফলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ভারি বৃষ্টি হলেই ওই সকল জমির ফসল ডুবে যায়। তাছাড়া অসময়ে ত্রিমোহনী স্লুইচগেট খুলে পানি আনার কারণেও ওই সকল জমির উঠতি ধান ও অন্যান্য ফসল ডুবে গেছে। অন্যদিকে ভারি বর্ষণে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গোপালপুর, চরবিশ্বনাথপুর এবং হাজার বিঘার চরাঞ্চলে আবাদ করা বেশ কিছু জমির বাদাম ডুবে গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে চরাঞ্চলে আবাদ করা শত শত বিঘা বাদাম ডুবে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে চরবিশ্বনাথপুর গ্রামের বাদাম চাষী আজগর আলী জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ময়নুল হক সরকার বলেন ভারি বর্ষণ এবং পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু কিছু জমির ধান এবং বাদামের ক্ষতি হয়েছে। তবে ব্যাপক ক্ষতি হয়নি।