প্রধানমন্ত্রী অনুদানে সংসার খরচ ও লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া পিতৃহারা খাদিজাতুল কোবরা এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে এবার নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া সেন্ট জোসেফ’স স্কুল এ- কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তার এমন সাফল্যে পরিবারসহ এলাকার মানুষ সবাই খুশি। কিন্তু খাদিজাতুল কোবরার উচ্চমাধ্যমিকশ্রেণীতে পড়ালেখার খরচ নিয়ে পরিবারটি দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
তার স্কুল শিক্ষক একরামুল আলম বলেন, মেয়েটি যথেষ্ঠ মেধাবী। খাদিজাতুলদের বাড়ী নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলান গ্রামে। তার পিতা খাইরুল ইসলাম সিকিউরিটি গার্ড হিসাবে চাকরী করে সংসার চালাতেন, মেধাবী দুই সন্তান নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিলো তার। কিন্তু দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মামলার রায়ের দিন জামায়াত-শিবির কর্মীদের হাতে খুন হন তিনি। এ বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। সেই খবরের কাটিংসহ খাইরুলের স্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন করেন। পরে ২০১৩ সালের দুঃসময়ে নাটোরের একটি কলেজের উপাধ্যক্ষ বাবুল আকতার বর্তমান পরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহায়তায় খাইরুল ইসলামের স্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর নিকট নিয়ে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে ও তার দুই সন্তানকে শান্তনা দেয়াসহ তাদের হাতে ১০ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র তুলে দেন। বর্তমানে সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশে তাদের সংসার চলে। খাদিজাতুলের বড় ভাই জুবায়ের হোসেন গত বছর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
খাইরুল ইসলামের স্ত্রী লিপি খাতুন বলেন, এই সঞ্চয়পত্র থেকে প্রতিমাসে যে মুনাফা আসে, তা দিয়ে সংসারের খরচ ও ছেলেমেয়ের লেখাপড়া চালাতে হয়। এখন মুনাফার পরিমাণ কমে গেছে। মাসে ৭ হাজার টাকার কিছু বেশি পাই। তা দিয়ে সংসার খরচ ও বড় ছেলের লেখাপড়া চালিয়ে মেয়েকে পড়ার খরচ দেবো কিভাবে সেটা নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছি।