সৈয়দপুরে বিভিন্ন স্থান থেকে সুন্দরী নারীদের এনে একটি প্রতারক চক্র নিজের ফায়দা লুটে নিচ্ছে। ওই নারীদের বাসায় রেখে প্রতারক চক্র চাকুরীজীবি বা ব্যবসায়ীদের ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের অর্থ আদায় করছে। ওই চক্রের সদস্যরা নারীদের লেলিয়ে দিয়ে অত্যন্ত গোপনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে তা ফাঁস করে দেয়ার কথা বলে প্রতারণা করছে। এ চক্রের ৩ সদস্যকে গত শনিবার সৈয়দপুর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নীলফামারী সদরের বাবরীঝাড় চৌপথি বাজারের মিঠু হোসেনের পুত্র লিমন হোসেন (২৫), লিমন হোসেনের স্ত্রী আকতারা বেগম (২১) এবং সৈয়দপুর শহরের আতিয়ার কলোনীর মৃত মোসলেম উদ্দিনের পুত্র আবু বিন আজাদ ওরফে শাওন (৩৫)। থানা সূত্রে জানা যায়, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার পাইকান হাজীপাড়ার মৃত জসিম উদ্দিনের পুত্র আবদুর রহিম (৫০) ব্যক্তিগত কাজে গত শনিবার সকালে সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে আসে। এ সময় প্রতারক চক্রের ৩ সদস্য নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে জিম্মি করে। ইয়াবা রয়েছে এমন অভিযোগে তাকে থানায় নেয়ার কৌশলে শহরের খেজুরবাগ মুন্সিপাড়ায় আবু বিন আজাদ ওরফে শাওনের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আবদুর রহিমের শরীরের পোষাক খুলে আকতারা বেগমকে দিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে অশ্লীল ভিডিও ধারন করা হয়। ওই ভিডিও প্রকাশ করার হুমকি দেখিয়ে তার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। নিজের জীবন বাঁচানো ও মান-সম্মানের ভয়ে আবদুর রহিম ১ লাখ টাকা দিতে সম্মতি হয় এবং প্রতারক চক্রের ০১৭১৭৬৩৫১৫৩ নম্বরে তার পরিবার থেকে ২০ হাজার টাকা ও নগদ ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়। বাকী টাকা দেয়ার শর্তে তাকে ছেড়ে দিলে ওই ব্যক্তি সৈয়দপুর থানায় এসে ঘটনাটি খুলে বলেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় আবদুর রহিম বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, রংপুর বাস টার্মিনালের শ্যামল রায় (৪০) ও তার স্ত্রী বীনা রানী (৩৫), ঘাঘট পাড়ার নাজির (২২) ও সেনপাড়ার আরমান (২৮)।
সৈয়দপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত খান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।