করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়েই ১৭ হাজার ৮৩৮ জন সুবিধাভোগীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন শেরপুর উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর। প্রতিদিন বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসা প্রায় ২’শ মানুষকে সেবা দিচ্ছেন এই দপ্তর। এতে করে কোরোনা ভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ওবায়দুল হক সহ ১২ জন স্টাফ।
সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানা যায়, শেরপুর উপজেলায় বিভিন্ন শ্রেণীর ১৭ হাজার ৮৩৮ জন ভাতাভোগী রয়েছেন। এদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ১৭৮ জন, বয়স্ক ভাতা ৯ হাজার ৯৫৯ জন, বিধবা ভাতা ৪ হাজার ৭৩ জন, প্রতিবন্ধী ৩ হাজার ৪৪৮ জন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠী বিশেষ বয়স্ক ভাতা ২৭ জন ও প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি ১৫৩ জন ভাতাভোগী রয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই কোন না কোন সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন হাজির হচ্ছে সমাজসেবা অফিসে। এখানে যারা সেবা নিতে আসেন তাদের মধ্যে বেশির ভাগই অশিক্ষিত, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও অসচেতন ব্যক্তি। তাই তাদের সেবা দিতে গিয়ে কোরোনা ভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন প্রায় ২’শ মানুষকে সেবা দিচ্ছেন তারা।
এ ব্যাপারে সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী আবদুল খালেক বলেন, প্রতিদিন প্রায় ২’শ জনকে আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তারা নানা ধরনের সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে আসে। কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মানেন না তারা। তবুও তাদের সেবা দিতে হবে। কারণ তারা বিশেষ শ্রেনীর মানুষ। তাদেরকে সেবা দেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ ওবায়দুল হক বলেন, অসহায় লোকদের সেবা দেওয়া ও তাদের জীবনযাত্রার মান স্বাভাবিক রাখা ও সরকারি যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা যথাসময়ে তাদের হাতে পৌঁছানোর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। যাতে করে দেশের এই দুঃসময়েও সুবিধাভোগীরা তাদের ন্যায্য সুবিধা গুলো পায়।