নীলফামারীর ডিমলায় (এলএসডি) খাদ্য গুদামে মজুদ চাল ও বস্তা আত্মসাতের দায়ে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা বরখাস্ত, গুদাম সিলগালা।
জানাযায়,ডিমলা সরকারী খাদ্য গুদামে মজুদ চাল ও বস্তা ঘাটতির ঘটনায় গত(১জুন) সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক(অঃদাঃ)নীলফামারী মাহমুদ হাসানকে আহ্বায়ক ও কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক আবদুল্লাহ আরেফিনসহ দুই সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়। তদন্তকালে (৭জুন) ডিমলা এলএসডি’র ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা হিমাংশু কুমার রায় গুদামে মজুদ ৩৪৫৬ বস্তায় ১৮৯.২৭০ মেঃ টন চাল ও ৫০ কেজি সাইজের ১৩হাজার ৯৬৫ টি বস্তা (যার বর্তমান বাজার মুল্য মোট ৯৩ লাখ ৪৭হাজার ৯৭৮ টাকা) আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন। বরখাস্ত হিমাংশু কুমার রায় লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার শিয়াল খাওয়া গ্রামের মৃত দুলাল চন্দ্রের ছেলে।
সোমবার রাতে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রংপুর আবদুস ছালাম ডিমলা এলএসডি তে আসলে আত্মসাতকারী ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা হিমাংশু কমার রায়কে কর্মস্থলে না পেয়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে, ডিমলা এলএসডি’র উপপরিদর্শক খগেন্দ্র নাথ বর্মন কে দায়িত্ব প্রদান করেন। এবং পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পয্যন্ত এলএসডি’র এফএস-১,২,৩ নাম্বার খাদ্য গুদাম সিলগালা করে দেন। এ সময় ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায়, নীলফামারী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন অভি ও তদন্ত কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে ডিমলা এলএসডি’র খাদ্য নিয়ন্ত্রক(অঃদাঃ) জগদীশ চন্দ্র সরকার বলেন, মঙ্গলবার অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা হিমাংশু কুমার রায়কে আসামি করে ডিমলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।