বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ২৪ দিন অতিবাহীত হলেও প্রকাশ হয়নি সরকারি খাদ্য গুদামে ধান কেনার জন্য লটারীতে জেতা কৃষকের তালিকা এর ফলে অনিশ্চয়তায় পড়েছে ধান সংগ্রহ অভিযান।
জানাযায়, কৃষকের নিকট থেকে চলতি বেরো মৌসুমে ধান সংগ্রহের জন্য শেরপুর উপজেলার পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নে ৩হাজার ৭৯৯ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কৃষক নির্বাচনের জন্য উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার কৃষকের তালিকা থেকে লটারী করে কৃষক বাছাই করা হয়। গত ১৭ই মে উপজেলায় কৃষক নির্বাচনে লটারী অনুষ্ঠিত হলেও এখনো পর্যন্ত লটারীতে নির্বাচিত কৃষকের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। যার ফলে কৃষক ও সচেতনদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে শেরপুর উপজেলার ধান সংগ্রহ অভিযান।
উপজেলার দুটি খাদ্যগুদামে সূত্রে জানাযায়, ৯ই জুন পর্যন্ত উপজেলায় গাড়ীদহ ইউনিয়নের একজন কৃষকের একটন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না হওয়ায় কৃষকেরা জানতেই পারছেন না তাদের নাম আছে কি না।
মির্জাপুর সরকারি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী সাথে কথা বললে তিনি জানান, মির্জাপুর খাদ্যগুদামে ৬টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৬৫২ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কৃষককের তালিকা হাতে পাইনি। তাই সংগ্রহ শুরু করতে পারিনি।
শেরপুর সরকারি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান। তিনি জানান, ২১ মে ধান চাল সংগ্রহ অভিযানের দিন শুধুমাত্র একজন কৃষকের নিকট থেকে একটন ধান সংগ্রহ করা হয়েছিল। এখনো চুড়ান্ত তালিকা হাতে আসেনি।
উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের কৃষক ফজলুল, জিলাল,রায়হান,বাবলু সহ অনেকেই জানান, আমরা এবছর জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছিলাম। কৃষিকার্ডও রয়েছে। কিন্তু ধান দেবার তালিকায় আমাদের নাম রয়েছে কি না তা এখনো জানতে পারিনি। আমরা খাদ্য অফিসে যোগাযোগ করেছি কিন্তু তারা কোন তথ্য আমাদের দেয়নি।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেকেন্দার রবিউল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি প্রতিবেদকের উপর ক্ষেপে গিয়ে তিনি বলেন আগামীকাল তালিকা প্রকাশ হবে। এক পর্যায় তিনি আরো রেগে গিয়ে বলেন আপনার যা ইচ্ছে তাই করেন তাতে আমার কিছু যায় আসেনা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ জানান, আসলে এই তালিকা চুড়ান্ত করতে এত দেরি করা ঠিক হয়নি। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ছুটিতে আছে বলে জানিয়েছে তবে খুব তারাতারি তালিকা প্রকাশ পাবে।