সৈয়পুরে জুয়াড়িদের ছুরিকাঘাতে আহত আলমগীর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী যুবক আলমগীর হত্যাকারী জুয়াড়িদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে শহওে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। এছাড়াও বিক্ষুদ্ধ লোকজন ঘঁনার সাথে জড়িত জুয়াড়ি বাবু ওরফে বাবুয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা গেছে, শহরের হাতিখানা ক্যাম্প এলাকার বাসিন্দা বাবু ওরফে বাবুয়া (২৬), মো. মনু (২৮), আদিল (৩০), নাসিম (২৬), মো. সামসাদ (২৫), ইব্রাহিম (২২), চঞ্চল (২১) ও মাহবুব (২২)। যুবকরা সংঘবদ্ধ হয়ে প্রায় সময় শহরের রেল লাইন এলাকায় মাদকসেবন ও জুয়া খেলতো। আর একই এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে আলমগীর (৩০) তাদের এসব অসামাজিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতো। ঘটনার দিন গত ৩১মে যুবকরা রেল লাইনের ওপর বসে মুঠোফোনে টাকা দিয়ে লুডু খেলছিল। আর এ সময় তাদের মুঠোফোনে লুডু খেলতে বাঁধা দেন হরেক মাল বিক্রেতা আলমগীর। ফলে জুয়াড়িরা তাঁর ওপর চড়াও হয়ে মারপিট করে। পরবর্তীতে হরেক মাল বিক্রেত বাড়ি থেকে বের হয়ে রেল লাইনের ওপর দিয়ে সৈয়দপুর শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। জুয়াড়িরা আলমগীরের পেটে চাকু মেরে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় আহত আলমগীরের মামা আবদুল মালেক বাদী হয়ে ৮জনকে আসামি করে গত ৩ জুন সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে সোমবার রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলমগীর মারা যান। জুয়াড়িদের ছুরিকাঘাতে আহত আলমগীরের মারা যাওয়ার খবর অল্প সময়ে গোটা শহরে ছড়িয়ে পরে। এ সময় বিক্ষুদ্ধ লোকজন সেখানে লাশ রেখে এক ঘন্টা বিক্ষোভ সামবেশ করে। তারা আলমগীর হত্যাকারিদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান। বক্তব্য দেন নীলফামারী জেলা মাইক্রোবাস জিপ কার পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়ন উপকমিটির সম্পাদক মানিক মিয়া, সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগ অর্থ সম্পাদক আইয়ুব আলী, নিহত আলমগীরের বড়ভাই জাহাঙ্গীর।
পরে বিক্ষুদ্ধ লোকজন আলমগীর হত্যার মুল হোতা বাবু ওরফে বাবুয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।