বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন হয় ১৭ মে। এ অভিযানের ২৫ দিন অতিবাহিত হলেও উপজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইডে কোন প্রকাশ হয়নি। তাছাড়া বিনা প্রচারনায় ও কৃষকদের অনুপস্থিতিতে লটারী জেতা কৃষকের নামের তালিকা না হওয়ার ফলে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহের অভিযানে ধান দিতে না পারায় অনেকটাই অনিশ্চয়তায় মুখে পড়ছে ভুক্তভোগী কৃষকরা। অপরদিকে একই অভিযানে চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে মিলারদের বিভাজন(বন্টন) তালিকা উপজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইডে প্রকাশ অদ্যাবধি আপডেট না হওয়ায় এ নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে সচেতনমহলে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের বোরো মৌসুমে উপজেলার কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহের জন্য ৩ হাজার ৭শত ৯৯ মেট্টিক টন, ৩৬ টাকা কেজি ১৫ হাজার ৪’শ ৪৯ মেট্টিক টন সিদ্ধ চাল ও ৭’শ ৬৭ মেট্টিক টন আতপ চাল সংগ্রহের জন্য উপজেলার ৪৫৩টি মিলের অনুকুলে বরাদ্দ হয়। বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহের জন্য গত ১৭ মে উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের জন্য লটারীর মাধ্যমে কৃষক তালিকা প্রণয়ন করে উপজেলা খাদ্য ও কৃষি অফিস। অন্যদিকে চাল সংগ্রহে মিলের ক্যাটাগরি অনুপাতে চাল বরাদ্দের বিভাজন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট খাদ্য অফিস। তবে ধান ও চাল সংগ্রহে কৃষক ও মিলারদের নামের প্রকাশ তালিকা প্রচলিত প্রক্রিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের ওয়েব সাইডে আপডেট করার কথা থাকলেও এ রিপোর্ট লেখা অবধি তা প্রকাশ হয়নি। এর ফলে উপজেলার লটারীতে প্রাপ্ত তালিকাভুক্ত তাদের ধান দিতে পারছেনা সংশ্লিষ্ট খাদ্য গুদামে। একইভাবে চাল সংগ্রহের বিভাজন অনুযায়ী ওয়েবসাইড ও অফিসবোর্ডের নোটিশে তালিকা প্রকাশ না হওয়ায় সচেতনমহলে নানা প্রশ্নের উদয় হচ্ছে। এসব ধান ও চাল সংগ্রহের অভিযান আগামী ৩১ শে আগস্ট পর্যন্ত চলবে বলে উপজেলা খাদ্য অফিস জানিয়েছেন।
অপরদিকে ধান সংগ্রহের অনুকুলে লটারী অনুষ্ঠানের হওয়ার ২৫দিন অতিবাহিত হলেও প্রকাশ হয়নি লটারীতে প্রাপ্ত প্রান্তিক কৃষকদের তালিকা। একইভাবে চাল সংগ্রহে চুক্তিবদ্ধ মিলারদের তালিকা প্রকাশ না হলেও থেকে নেই চাল সংগ্রহ অভিযান।
গত ৯ জুন মঙ্গলবার পর্যন্ত চলতি মৌসুমে শেরপুর খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ মিলারদের কাছ থেকে ৪২০ মেট্টিক টন ও মির্জাপুর খাদ্য গুদামে ৬৫০ মেট্টিক টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করেছে। এছাড়াও লটারীতে তালিকাভুক্ত কৃষকগণ অদ্যাবধি ধান নিয়ে গুদামে না আসায় সংগ্রহ করতে পারছেনা বলে সংশ্লিস্ট খাদ্যগুদাম কর্মকর্তাদ্বয় জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেকেন্দার রবিউল ইসলাম বলেছেন, প্রান্তিক কৃষকদের তালিকা তৈরী হয়েছে, এবং মিলারদের অনুকুলে বরাদ্দের বিভাজন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে সঠিক সময়ে উপজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইডে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া ইতোমধ্যে প্রকাশের জন্য সংশ্লিস্ট অফিসে প্রেরণ করেছি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ জানান, উপজেলা খাদ্য অফিস ধান ও চাল সংগ্রহের অনুকুলে বরাদ্দপ্রাপ্তদের নামের তালিকা এসেছে, খুব শিঘ্রই ওযেব সাইডে প্রকাশ করা হবে।