প্রতিবন্ধি সাথি খাতুন (১৩) এসেছিল সমাজসেবা অফিসে তার প্রতিবন্ধি কার্ডের বিষয়ে কথা বলতে। সেখানে যেতেই পা পিছলে পড়ে ব্যাথা পায় কোমড়ে। বিকল্প রাস্তা না করে সরকারি আরেকটি ভবন তৈরীর জন্য মাটি খুড়ে রাখার কারণে ১০ জুন বুধবার সকালে ঘটে এমন ঘটনা। শুধু তাই নয় সাপ্লাই পানির পাইপ উপড়ে ফেলার কারণে করোনা পরিস্থিতিতে বারবার হাত ধোয়া ও টয়লেট ব্যবহার করতে পারছেন না ওই অফিসের স্টাফরা।
জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলা পরিষদের নতুন ভবন তৈরীর জন্য গত ২ মাস আগে মৎস, সমাজসেবা, যুব উন্নয়ন ও কৃষি অফিসের সামনে খুড়ে রাখে দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। যেখানে আগে ওই অফিস গুলোয় যাতাযাতের জন্য রাস্তা ছিল। মাটি খননের কারণে অফিসের সাপ্লাই পানির লাইনো বন্ধ রয়েছে প্রায় ২ মাস হলো। এতে করে মৎস অফিসের ৭ জন, সমাজসেবা অফিসের ১৩ জন, যুব উন্নয়ন অফিসের ৭ জন এবং কৃষি অফিসের ৪৮ জন স্টাফ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। করোনা ভাইরাসের এমন পরিস্থিতিতে তারা বার বার হাত ধুতে পাড়ছেনা এমনকি টয়লেট টাও ঠিকমত ব্যবহার করতে পারছেনা। তাছাড়া সমাজসেবা অফিসে বেশীরভাগ মানুষ বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধিরা যাতায়াত করে। এমন অবস্থায় তাদের খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাই দ্রুত বিকল্প রাস্তা তৈরী ও সাপ্লাই পানির ব্যবস্থা করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্টাফ বলেন, ২ মাস আগে এখানে মাটি খনন করা হয়েছে। পানির পাইপও তুলে ফেলা হয়েছে। এতে করে আমরা নানা সমস্যায় ভুগছি। ঠিকাদারকে বলা হয়েছে কিন্তু উনি পাত্তা দিচ্ছেন না।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী নুর মোহাম্মাদ বলেন, একটা ভবন তৈরী করতে গেলে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতেই পারে। পানির লাইন ও বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা খুব দ্রুত করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ বলেন, এ বিষয়ে ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। খুব দ্রুত এর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।