সরাইল-অরূয়াইল সড়কের তিন অংশে কাজ চলছে। কাজ করছেন তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে সেতরা নদীর উপর নির্মিত ব্রীজের পূূর্ব প্রান্ত থেকে সাবেক ইউপি সদস্য রহমত আলীর বাড়ি পর্যন্ত ৫১৩ মিটার সড়ক নির্মাণের কাজ পেয়েছিল জেলা শহরের ‘মেসার্স ডিসেন্ট এন্টার প্রাইজ’ নামক একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ওই অংশে পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে কাজ চলমান অবস্থায় সড়কটি ভেঙ্গে ধেঁবে গেছে নীচের দিকে। বেহাল এ সড়ক দিয়েই কোন রকমে চলছে যানবাহন। সরজমিনে দেখা যায়, সরাইল অরূাইল সড়কের তিন অংশে কাজ করছেন তিনজন ঠিকাদার। এরমধ্যে ১৩৩৪৭ মিটার থেকে ১৩৮৬০ মিটার পর্যন্ত সড়কটি নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করে কর্তৃপক্ষ। এ কাজের প্রাক্কলিত মূল্য ছিল ৩৭ লাখ ৮২ হাজার ৮১৬ টাকা। আর চুক্তি মূল্য ৩৫ লাখ ৯৩ হাজার ৬৭৫ টাকা। কাজটি পেয়েছে মেসার্স ডিসেন্ট এন্টার প্রাইজ। কিন্তু বাস্তবে সরাসরি কাজটি করছেন সরাইলের রসুলপুর এলাকার জনি নামের জনৈক ব্যক্তি। গত ৪-৫ দিন ধরে দিনে রাতে প্রায়ই মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। একদিকে করোনা অপরদিকে বৃষ্টির মধ্যেই চলছে এ সড়কের কাজ। গত মঙ্গলবার মাঝ রাত থেকে গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। ফলে পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের পাশে সড়কটি ভেঙ্গে নীচের দিকে ধেঁবে যাচ্ছে। আটকে যাচ্ছে বৃষ্টির পানি। সড়কের অন্য অংশ গুলোও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচলে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, যে পরিমাণ টাকার কাজ এটি। টাকা সড়কে বিছাইয়া দিলেও ভাল কাজ হওয়ার কথা। অথচ কাজ চলমান অবস্থায়ই এমন বেহালদশা সড়কের। পরে কি হবে? জুন মাস তাই বিল উত্তোলন করতে দ্রƒত গতিতে যেনতেন ভাবে কাজ করার চেয়ে না করাই ভাল। এ বিষয়ে কথা বলতে গতকাল বিকেল ৩টা ৩৯ মিনিটে সরাইল উপজেলা প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) নিলুফা ইয়াছমিনের মুঠোফোনে (০১৭১৫-০৮১৩৫৭) ফোন দিলে তিনি রিসিভ করে লাইন কেটে দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম মোসা কিছু ঠিকাদারের কাজ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্বের প্রতি বিরোক্তি প্রকাশ করে বলেন, আমি বিষয় গুলোর খুঁজ খবর নিয়ে দেখছি।