রাঙ্গামাটি জেলার অতিবর্ষণের কারণে সম্ভাব্য পাহাড় ধস প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলার জন্য জেলার সার্বিক প্রস্তুতি হিসেবে রাঙ্গামাটি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩৩টি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার ২৫ টি আশ্রয় কেন্দ্রের সুষ্ট ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়ের জন্য জেলার প্রশাসনের ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে কমিটি গঠন করেছেন, জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ।
রাঙ্গামাটি জেলার ৯টি ওয়ার্ডেও ১নং ওয়ার্ডের মধ্যে ২টি ঝূকিপূর্ণ এলাকার ২টি আশ্রয় কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভুমি) সদরের ফাতিমা সুলতানা, ২নং ওয়ার্ডের মধ্যে ৩টি ঝূঁকিপূর্ণ এলাকার ২টি আশ্রয় কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও সহকারী কমিশনার মোঃ মঈনুল হোসেন চৌধুরী, ৩নং ওয়ার্ডের মধ্যে ১টি ঝূঁকিপূর্ণ এলাকার ২টি আশ্রয় কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও সহকারী কমিশনার শানজিদা মুস্তরী, ৪নং ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টি ঝূঁকিপূর্ণ এলাকার ৪টি আশ্রয় কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও সহকারী কমিশনার মোঃ মশিউর রহমান, ৫নং ওয়ার্ডের মধ্যে ৪টি ঝূঁকিপূর্ণ এলাকার ৪টি আশ্রয় কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও সহকারী কমিশনার আরিফুল ইসলাম, ৬নং ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টি ঝূঁকিপূর্ণ এলাকার ৭টি আশ্রয় কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও সহকারী কমিশনার পল্লব হোম দাস এবং মোঃ ইসলাম উদ্দিন, ৭নং ওয়ার্ডের মধ্যে ৪টি ঝূঁকিপূর্ণ এলাকার ৪টি আশ্রয় কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও সহকারী কমিশনার সকিনা আক্তার, ৮নং ওয়ার্ডের মধ্যে ২টি ঝূঁকিপূর্ণ এলাকার ২টি আশ্রয় কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও সহকারী কমিশনার মোঃ বোরহান উদ্দিন মিঠু, ৯নং ওয়ার্ডের মধ্যে ৪টি ঝূঁকিপূর্ণ এলাকার ২টি আশ্রয় কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও সহকারী কমিশনার অঞ্জন কুমার দাস।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ জানান, পাহাড় ধস ও প্রাকৃতিক দূর্যোগকালীন আশ্রয় কেন্দ্রসমূহে অবস্থানরত জনগনের মাঝে সামাজিক দূরত্ব খাবার, ঔষধ ও পানি সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে আশ্রয় কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া আমাদের জেলা প্রশাসনের সকল ম্যাজিস্ট্রেটগন ও ডেপুটি কালেক্টর উত্তম কুমার দাসসহ সকলে পাহাড় ধস ও প্রাকৃতিক দূর্যোগকালীন আশ্রয় কেন্দ্রসমূহে অবস্থানরত জনগনের মাঝে সামাজিক দূরত্ব খাবার, ঔষধ ও পানি সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে আশ্রয় কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা সুষ্টভাবে কাজ করে যাবে।