বুধবার সকালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া সিনহা গ্রুপের পোশাক কারখানার নিরাপত্তা প্রহরী। তিনি মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ।
তাঁর বাড়ি বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের আড়কান্দি গ্রামে। মরদেহ আসার পর দুপুর সাড়ে তিনটায় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তাঁর শেষ বিদায়ে উপস্থিত ছিলেন বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম হেদায়েতুল ইসলাম, বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পপরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শাফিন জব্বার।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাফিন জব্বার বলেন, আমিসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বালিয়াকান্দি থানার ওসি উপস্থিত থেকে সম্পূর্ণ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ইকরামুল মুসলেমিন নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় কাজ সম্পন্ন করা হয়। ঢাকা থেকে তার মরদেহ গ্রামে আনার সাথে সাথেই আমরা ওই স্থানে উপস্থিত হই।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা বলেন, মানবিক কারনেই উপস্থিত হয়েছি। জানাযাসহ দাফন পর্যন্ত আমরা সেখানে উপস্থিত ছিলাম। কর্তব্যপালনের পাশাপাশি মানবিকতার জায়গা থেকে করোনকালসহ সবসময় এভাবেই মানুষের পাশে থাকতে চাই।
ইউএনও এ কে এম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে তার মরদেহ বুধবার ৩টার দিকে বালিয়াকান্দিতে পৌছায়। ধারণা করেছিলাম, তার জানাযায় হয়ত কেউ থাকবে না। একারণে জানাযায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিয়ে সেখানে যাই। তবে এলাকার মুরব্বীসহ যথেষ্ট সংখ্যক লোক জানাযায় উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, প্রশাসন কিংবা সরকারী ব্যক্তিদের কোন বাধ্য বাধকতা নেই করোনায় কেউ মারা গেলে তাঁর জানাযায় অংশগ্রহণ করার জন্য। উপস্থিত থাকাটার বিষয়টি মানবিকতার তাড়নায়।
হেদায়েতুল ইসলামের মতে, যিনি মারা গেছেন তিনি কোন পরিবারের সদস্য। কারো স্বজন। কারো বন্ধু। সবচেয়ে বড় বিষয় তিনি আমাদের সমাজেরই একজন। তাই এরকম সবার প্রতি যেন আমরা মানবিক থাকি। বিপদে সচেতনতার সাথে পাশে দাড়াই। উপজেলার প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সেরকম একটি মেসেজ পৌছে দেয়াই এর প্রধান লক্ষ্য।