ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সরকারি জায়গা দখল করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১১ জুন) উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এলাকাবাসীর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দি পূর্ব গ্রামের ভলাকুট মৌজার ১১৭৫৭ দাগের সরকারি খাল দখল করে ২০০ পরিবারের পানি নিষ্কাশনে বাধাঁ প্রদান করে আসছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে গ্রামবাসীকে মামলার হুমকি দিচ্ছে। গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবে ওই আইনজীবীকে সরকারি জায়গার দখল ছাড়তে অনুরোধ করলেও তিনি কারো কথা শুনছেন না।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দি গ্রামের একটি অংশে ১১৭৫৭ দাগের সরকারি জায়গা দখল করে পানি প্রবাহে বাধাঁ প্রদান করে আসছে একই গ্রামের এক আইনজীবী মাজহারুল হক মেরাজ। ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন,জাকির হোসেন,জায়েদা আক্তার,জাহানারা বেগম, আছিয়া বেগম,হোসনা অভিযোগ করে জানান,কিছু দিনের বৃষ্টির কারণে আমাদের বাড়িতে,রাস্তায় পানি জমেছে,বাড়ির টয়লেট,রান্নার চুলা পানির নিচে।আমাদের ছেলে মেয়েরা স্কুল কলেজে যেতে হলে কাপড় ভিজিঁয়ে যেতে হয়। আমরা প্রায় ২০০ পরিবার জলাবদ্ধতার কারণে পানি বন্ধি আছি। আমাদের বাড়ির পানি যাওয়ার পাইপ লাইনটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় আমাদের গ্রামের ২২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে মেরাজ উকিল।
অভিযুক্ত অ্যাডভোকেট মাজহারুল হক মেরাজ তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান,এটা সরকারি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না,আমাদের ব্যক্তি মালিকানা জায়গার উপর দিয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। এতে আমাদের কোন বাঁধা নেই। পাশ্ববর্তী লোকজন জায়গা-জমি ভরাট করায় আমাদের জায়গাও ভরাট করছি। সরকারি জায়গা দখলের প্রশ্নই উঠে না।
এ বিষয়ে ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রুবেল মিয়া জানান, স্থানীয় ভাবে আমরা এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু মেরাজ মিয়া কারো কথা শুনতে চায় না। সে জোর পূর্বক সরকারি জায়গা দখল করে আছে।কেউ প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করে।এ পর্যন্ত তিনি এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করেছে।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা আশরাফী বলেন, ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দি গ্রামে থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।