সৈয়দপুরে পৈত্রিক সম্পত্তি একাই গ্রাস করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে আরেক ভাই খালিদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা মাকে ব্যবহার করছে আমার বড় ভাই রাশেদ সিদ্দিকী। এরইমধ্যে মাকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগ এনে রাসেদ সিদ্দিকী মাকে সাথে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে। এদিকে ১২ জুন নিজ বাড়ি মুন্সিপাড়ায় সংবাদ সম্মেলন করেন আরেক ভাই খালিদ সিদ্দিকী। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন,আমার মায়ের সাথে কোন বিরোধ নেই। আমি মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া তো দুরের কথা মায়ের সাথে কোন সমযের জন্য খারাপ আচরণও করি নাই যা আশপাশের লোকজন জানেন। সমাজে আমাকে হেয় করার জন্য আমার ওই ভাই মাকে হাত করে অপপ্রচার চালাচ্ছে আমার বিরুদ্ধে। আমি তার অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানাই। এ সময় তিনি আরো বলেন ,আমরা ৫ ভাই। দুই ভাই দেশের বাইরে থাকেন। আমার বড় ভাই রাসেদ সিদ্দিকী ইতোমধ্যে মাকে হাত করে কিছু জমি বিক্রি করেছে। এরপর আমাদের থাকার একটি বাড়ি বিক্রির পায়তারা করছে। আমি তার এ ধরনের কাজে বাঁধা দিলে তিনি আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখান। এতেও তিনি থেমে থাকেননি আমার ছোট ভাই তারেক সিদ্দিকী ও তার স্ত্রীর নামে অকারণে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন। তার কথা না শোনলে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। শেষে কোন উপায় না পেয়ে তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠেন। তাই আমাদের বাদ দিয়ে এবং বদনাম রটিয়ে পৈত্রিক সম্পত্তি একাই গ্রাস করতে তিনি তার স্ত্রীসহ এ ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন। তার আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। তিনি আরো বলেন আমি নাকি অতি গোপনে নিজ নামে জমিটি খারিজ করেছি,ওই অভিযোগটিও ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যে। প্রকৃত ঘটনা হলো ওই জমি রাশেদ সিদ্দিকী, খালেদ সিদ্দিকী ও তারেক সিদ্দিকী ৩ জনের নামে নাম জারি করা হয়। রাশেদ সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাগমা সিদ্দিকীর কুচক্রান্তের কারণে আমার বড় বোন ও বড় জামাতাদের সাথে সম্পর্ক নষ্ঠ হয়েছে। আসলে সে তার নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য সব কিছু করতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোহন, আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম রয়েল, ব্যবসায়ি আতিকুল ইসলাম,সমাজসেবক মোজাহার হোসেন,দেলোয়ার খান,বাদল, ইদ্রিস প্রামানিকসহ অনেকে।