নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার গন্ডব গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ট্রিপল মার্ডারের মোক্তার মোল্যা ও হাবিল মোল্যা হত্যার ঘটনায় মামরা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার(১২ জুন) রাতে গন্ডব গ্রামের মোমরেজ মোল্যা বাদি হয়ে ৭৭ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-১২। দায়েরকৃত মামলায় ট্রিপল মার্ডারের মূল হোতা ইয়াবা ব্যবসায়ী, জুয়াড়ি ও নড়াইল জেলা পরিষদের সদস্য শেখ সুলতান মাহমুদ বিপ্লব কে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাশিপুর ইউনিয়নের গন্ডব গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে মিরাজ মোল্যা নেতৃত্বাধীন গ্রুপ এবং সুলতান মাহমুদ বিপ্লব নেতৃত্বাধীন গ্রুপ এর মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জের ধরে উভয় গ্রুপ বুধবার দুপুর ৩টার দিকে ঢাল, সড়কি, রামদাসহ নানা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গন্ডব গ্রামের গো-হালটে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে শেখ সুলতান মাহমুদ বিপ্লব পক্ষের লোকের ধারালো অস্ত্রের কোপে গন্ডব গ্রামের মৃত মাজেদ মোল্যার ছেলে মোক্তার মোল্যা (চাচা) সহ ভাতিজা একই গ্রামের মনতাজ মোল্যার ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিল মোল্যা নিহত হন। এছাড়াও সাইফার মোল্যার ছেলে রফিক মোল্যাও নিহত হন।
গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, ইয়াবা ব্যবসায়ী ও জেলা পরিষদের সদস্য সুলতান মাহমুদ বিপ্লব এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। এ হত্যাকান্ডে বিপ্লবকে সহযোগিতা করেছে তার চাচা ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম। অভিযোগ বিষয়ে সিআইডির(ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট) ফরেনসিক শাখার ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম স্থানীয় সাংবাদিকদের ফোনে বলেন, আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সঠিক নয়। আমি হত্যাকান্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। প্রকৃত হত্যাকারীদের শাস্তি হোক।
লোহাগড়া থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। রফিক হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।