সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতাল করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা ও শনাক্ত রোগীর চিকিৎসা সেবার জন্য করা হচ্ছে প্রস্তুত। শহরবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে রেলপথ মন্ত্রণালয় এ নির্দেশনা দেন। দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় কর্মরত কর্মকর্তা - কর্মচারিদেও চিকিৎসা সেবা দেয়ার লক্ষ্যে গড়ে তোলা হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতাল। একসময় চিকিৎসা সেবায় এ হাসপাতালের অনেক সুনাম ছিল। বর্তমানে রেলওয়ে কারখানায় কর্মকর্তা-কর্মচারী কমে যাওয়ায় অলস হয়ে পড়ে আছে হাসপাতালটি। ৮২ শয্যার এ হাসপাতালে পদসংখ্যা ছিল ১শ ৫২ টি। বর্তমানে হাসপাতালটি রোগীশূন্য হলেও কর্মরত আছেন ৭৬ জন। অপারেশন থিয়েটার, এক্সরে রুম, সার্জারি ওয়ার্ড, সাধারণ ওয়ার্ড, মহিলা ওয়ার্ড, কেবিনসহ চিকিৎসার যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এখানে। তাই করোনা দুর্যোগের সময় হাসপাতালটিতে এ-সংক্রান্ত সেবা চালু করতে মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ জানান সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনসহ আরো অনেকে। সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালের বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা আনিসুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কম। কিন্তু হাসপাতালের যাবতীয় অবকাঠামো ও চিকিৎসা সরঞ্জাম আছে। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করলে হাসপাতালটিতে করোনার নমুনা পরীক্ষা ও রোগীর চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) মিহির কান্তি গুহ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কমলাপুর ও চট্টগগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবং স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রেলপথ মন্ত্রণালয় সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালটিকে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চাহিদা মোতাবেক তা ব্যবহার করা হবে।