কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাসিস্ট করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় শনিবার দুপুর একটার পরে বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থপনায় হাসপাতালের বহির্বিভাগ খোলা রাখা হয়েছে। হাসপাতালে জরুরী বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটা করা হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ মণি শংকর পাইক। তিনি আরও জানান যে, আমরা যে ফার্মাসিস্ট করোনায় আক্রান্ত তার সংগে যাদের যোগাযোগ ছিল,অর্থাৎ ঐ ফার্মাসিস্ট যাদের সংগে চলাফেরা করছে, খাবার খেয়েছে, কথা বলেছে তাদের আমরা প্রাথমিক ভাবে ২২জনের নমুনা সংগ্রহ করে টেস্টের জন্য যশোর পিসিআর ল্যাবে পঠিয়েছি। এ রিপোর্ট পজেটিভ আসলে আমরা কঠিন সিদ্ধান্ত নিবো, তবে আপাততো বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থপনায় হাসপাতালের বহির্বিভাগ খোলা রাখা হয়েছে ।
এর আগে শনিবার সকালে তিনি জানিয়েছিলেন, হাসপাতালের ফার্মাসিস্টসহ তিন জন করোনা আক্রান্ত হন। এই কারণে বাগেরহাট সিভিল সার্জনের পরামর্শক্রমে তাৎক্ষনিকভাবে বহির্বিভাগের সেবা বন্ধ হয় এবং জরুরী বিভাগে অতিরিক্ত চিকিৎসকের মাধ্যমে সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়।
এরপরে হাসপাতালে ওই জরুরী বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থপনায় হাসপাতালের বহির্বিভাগ খোলা রাখা হয়েছে।
অপরদিকে, কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিৎ দেবনাথ জানান, করোনা পজেটিভ তথ্য পেয়ে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে গজালিয়া গ্রামের পুরুষ (৩১) ব্যক্তির বাড়ি সহ দুই বাড়ি লকডাউন করা হয়। এই ব্যক্তি ঢাকায় একটি বেসরকারী হাসপাতালে চাকুরী করতেন। প্রায় ১৫ দিন আগে ঢাকা হতে গ্রামে ফেরেন। হাসপাতাল হতে তার রক্তের নমুনা পরীক্ষায় পাঠায়। শুক্রবার রিপোর্টে করোনা পজেটিভ আসে। বাড়িতে তার চিকিৎসা চলছে। অপর পুরুষ (২৮) ব্যক্তি ঢাকায় একটি গার্মেন্টেসে চাকুরী করতেন। ১০ দিন আগে রাড়িপাড়া তার গ্রামের বাড়িতে ফেরেন। পরে করোনা সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি হন। তারও করোনা পজেটিভ আসে। কচুয়া হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
এছাড়া, হাসপাতালের ফার্মাসিস্টের (৫৫) বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের বৈটপুর গ্রামে। তিনি বাড়ি হতে হাসপাতালে আসতেন। তারও করোনা পজেটিভ আসে শুক্রবার রাতে। বগেরহাট হাসপাতাল তার চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন বলে জানা যায়।