এসকেএস ফাউন্ডেশন সৈয়দপুর শাখার উদ্যোগে করোনাকালে মানুষের সহায়তার জন্য হাইজিন সামগ্রী পৌর এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১০ জুন শহরের সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয গলিতে ওই সব সামগ্রী বিতরণ করছিল ওই ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক মনিরুজ্জামান ও তার সহকারীরা। বিতরণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল সাবান ও মাক্স। সরকারী নির্দেশনা যেমন সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা ও জটলা না করা। কিন্তু ওই সকল সামগ্রী বিতরণকালে সরকারী ওই নির্দেশনা মানা হচ্ছিল না। তাদের ওই কাজগুলো মেনে চলে বিতরণের কথা বলেন ওই এলাকার বাসিন্দা রেজা। তার এমন কথায় বিতরণকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায় উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এতে মনির ও রেজা আহত হয়। পরে তারা উভয়ে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়। এরই মধ্যে হঠাৎ করে পরদিন ১১ জুন সাবান ও মাক্স কেড়ে নেয়ার অভিযোগ এনে আব্দুর রহমান রেজা,বাবুল হোসেন ও কাউসান নামে ৩ জনকে আসামি করে সৈয়দপুর থানায় মামলা দায়ের করে মনিরুজ্জামান। যার মামলা নম্বর ১১। মামলায় উল্লেখ করা হয় বাদিকে মেরে তার কাছ থেকে ১৫০ পিস সাবান ও ১৫০ পিস মাক্স কেড়ে নেয়া হয়। সেইসাথে সহকর্মীদের শীলতাহানি করা হয়। কতোগুলো সাবান ও মাক্স ওইদিন তাদেরকে সরবরাহ করা হয়েছিল এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসকেএস ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম তফাদার জানান, ওইদিন তাদেরকে এতোগুলো সাবান ও মাক্স সরবরাহ করা হয়নি। সেখানে ১০ থেকে ১২টি বাড়িতে সাবান ও মাক্স দেয়ার কথা ছিল। এতেগুলো সাবান ও মাক্স যদি অফিস থেকে সরবরাহ করা না হয় তাহলে মামলার আরজেিত এতো সাবান ও মাক্স এলো কোথা থেকে। ১নং আসামী দিনাজপুর সরকারী কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া করছে। একজন শিক্ষিত ছেলে সাবান ও মাক্স কেড়ে নিল এটা কতটুকু সত্য। তাছাড়া রেজার বাবা একজন সন্মানীত ব্যাক্তি। সমাজে তার সুনাম রয়েছে। একটি কুচক্রিমহল মিথ্যে নাটক সাজিয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত এসকেএস ফাউন্ডেশনের সুনাম ক্ষুন্ন করতে কাজ করছে এমন মন্তব্য এলাকার অনেকের। এ বিষয়ে রেজার বাবা মানিক মিয়া বলেন, কোন কাজ করতে গেলে ভ’লভ্রান্তি হতেই পারে। তাই বলে কি মিথ্যে চুরির ঘটনা সাজিয়ে শিক্ষিত ছেলেদের মামলায় জড়ানো।