তানোরে মেধাবী ছাত্র রকি পুঙ্গ মামলার ২৫দিনেও শিক্ষক আতাউরকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। অপর দিকে ওই শিক্ষক নিজ গ্রামসহ এলাকা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং রাতে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। এলাকাবাসীসহ রকির পরিবারের অভিযোগ ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তারের বিষয়ে তানোর থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে নিরব রয়েছে। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে চরম অসন্তোষ ও রহস্যের দ্বানা বেধেছে।
মামলার বিবরণ, পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, মুন্ডুমালা পৌর এলাকার চুনিয়াপাড়া গ্রামের মাহাবুর রহমানের সাথে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের আজিমুদ্দীনের পুত্র চিনাশো সিনিয়র আলিম মাদরাসার সহকারী শিক্ষক শিক্ষক আতাউর রহমানের জায়গা জমি নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিলো।
এরই জের ধরে গত (১৪ই মে) বৃহস্পতিবার শিক্ষক আতাউর রহমান তার ১০/১২জন লোকজন নিয়ে মাহাবুর রহমানসহ গ্রামের লোকজনের চলাচলের সরকারী জায়গার রাস্তা বেড়া দিয়ে বন্ধ করে করছিলেন।
এসময় রাস্তা বন্ধ করতে নিষেধ করলে মাহাবুর রহমানকে শিক্ষক আতাউর ও তার লোকজন বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এ সময় মাহাবুরের পুত্র চিনাশো আলিম মাদ্রাসার ৮ম শ্রেনী মেধাবী শিক্ষার্থী রকি (১৭) পিতাকে বাচানোর জন্য এগিয়ে গেলে শিক্ষক আতাউর লোহার রড় দিয়ে তার ছাত্র রকির মাথায় জোরে আঘাত করলে রকির মাথা ফেটে চৌচির হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
এ সময় তার স্বজনরা তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে তানোর উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।রাজশাহী মেডিকেলে রকির বশে কয়েকটা অপারেশন করা হয়েছে। তবে, রকি উঠে দাড়াতে পারেনি, তার এক সাইড অবশ হয়েগেছে।
এ ঘটনার ২দিন পর গত (১৬ই মে) রকির পিতা মাহাবুর রহমান বাদি হয়ে শিক্ষক আতাউর রহমানসহ ৯ জনকে আসামি করে তানোর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু তানোর থানার পুলিশ মামলা দায়েরের ২৫ দিনেও শিক্ষক আতাউরকে গ্রেপ্তার করেনি।
এনিয়ে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, থানায় দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তানোর থানার এসআই সপনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তানোর থানার এসআই স্বপন কুমার বলেন, আসামীকে পাওযা যাচ্ছেনা।