করোনা সংক্রমন এড়াতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভার ছয় নং ওয়ার্ডের নাইয়াপট্রি এলাকার তিন শতাধিক পরিবারকে লকডাউন করেছে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন। রোববার সকালে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক ও পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার নাইয়াপট্রি এলাকার প্রবেশ ও বাহিরের দুটি সড়ক আটকে দেন। আগামী ১৪ দিন এ পরিবারগুলো লকডাউন থাকাকালীন তাঁদের সব ধরনের সহায়তা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হবে। নতুন করে করোনা সংক্রমনের খবরে রোববার নাইয়াপট্রি এলাকার আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের আট সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
গত ৬ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে নাইয়াপট্রি এলাকায় ঢাকা ফেরত যুবক পারভেজ(৩০) মারা যায়। এ পরিবারের সংস্পর্শে থাকা ঢাকা ফেরত চল্লিশোর্ধ মনির ব্যাপারীর গত শনিবার রাতে করোনা সনাক্ত হওয়ায়। পৌর শহরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনবহুল এই নাইয়াপট্রি এলাকা থেকে করোনা সংক্রমন যাতে দ্রুত ছড়াতে না পারে এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন ঘোষণা করে সার্বক্ষণিক দুই সড়কে আনসার সদস্য মোতায়েন করে। কিন্তু নানা অজুহাত দেখিয়ে তারপরও ভেতর থেকে অধিকাংশ মানুষকে বের হতে দেখা গেছে। তাদের অনেকে মাছ বাজারে মাছ বিক্রি করেছে সারাদিন।
ম্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানাযায়, কলাপাড়া উপজেলায় ২৮৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১১ জন করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে এবং দুই জন মারা গেছে। নাইয়াপট্রি থেকে মোট ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
কলাপাড়া পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার জানান, লকডাউনের এলাকায় পরিবারগুলো সরকারি সিদ্ধান্ত মানলে তাদের সবধরনের সহায়তা দেয়া হবে। এজন্য তাদের তালিকা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, আজ(রোববার) সকালে নাইয়াপট্রি এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। লকডাউন কঠোরভাবে মানতে সবধরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে।