নীলফামারীতে জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলে এক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৪ জুন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মন। এতে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সিডিসি কনসালটেণ্ট চিকিৎসক রাশেদ আলী শাহ, সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুল হোসেন প্রমুখ।
সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন বলেন, এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে জলাতঙ্ক রোগীর সংখ্যা পূর্বেও তুলনায় ৬০ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে চলমান এ সকল কার্যক্রমের পাশাপাশি কুকুরের কামড়ের আধুনিক ব্যাবস্থাপনা চালু রেখে ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের সকল কুকুরকে তিন ডোজ টিকা প্রদান করা গেলে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে।
বক্তারা বলেন, জলাতঙ্ক একটি মরণব্যাধি, এ রোগে মৃত্যুর হার শতভাগ। পৃথিবীতে কোথাও না কোথাও প্রতি ৯ মিনিটে ১জন এবং প্রতিবছর প্রায় ৫৭ হাজার মানুষ জলাতঙ্ক রোগে মারা যান। রোগটি সাধারণত কুকুরের কামড় বা আঁচড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এ ছাড়া বিড়াল, শিয়াল, বেজী, বানরের কামড় বা আঁচড়ের মাধ্যমে এ রোগ হতে পারে। ২০২২ সালের মধ্যে দেশকে জলাতঙ্ক মুক্ত করার লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে এ কর্মসূচি শুরু করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় এবং প্রাণি সম্পদ মন্ত্রনালয় যৌথভাবে জাতীয় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ এবং নির্মূল কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে দেশের সকল জেলায় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এসব কেন্দ্র থেকে কুকুর বিড়ালের কামড়ে আক্রান্ত রোগীর আধুনিক ব্যবস্থাপনা ও জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা বিনা মুল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।
কর্মসূচির সুপারভাইজার আসাদুজ্জামান প্রধান বলেন,আগামী ১৮ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত জেলার ছয় উপজেলায় ব্যাপকহারে কুকুরের টিকা দান কর্মসূচি পরিচালিত হবে। জেলার ছয় উপজেলায় ৩৩ হাজার কুকুরের শরীরে এক ডোজ করে টিকা প্রদান করা হবে। এর আগে জেলায় দুই বার ওই টিকা প্রদান করা হয়েছে। এটি জেলায় তৃতীয় ডোজ টিকাদান