পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল বাজারে স্থানীয় ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ছাত্রলীগ নেতা এক কলেজ ছাত্র খুন হয়েছেন। নিহত হলেন হান্ডিয়াল নিকারীপাড়ার আঃ রাজ্জাকের ছেলে,চাটমোহর সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্র ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব (২০)। এ সময় আঃ গফুরের ছেলে নাসির (২০) গুরুতর আহত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাত ৮টার দিকে। সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।
এলাকাবাসী জানান,রোববার বিকেলে স্থানীয় স্কুল মাঠে খেলাধূলাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাসেল গং এর সাথে সাবেক কমিটির নেতা কলেজছাত্র হাবিব গং এর বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে হান্ডিয়াল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে একদল সশস্ত্র যুবক হাবিব,নামিরসহ অন্যান্যের উপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্রাঘাতে হাবিব ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহত হয় নাসির। খবর পেয়ে হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এরপর চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন ও চাটমোহর থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দিনের নেতৃত্বে চাটমোহর থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহত নাসিরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রাসেল-কাজল-জুয়েল গং এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি নিহতের পরিবারের।
হান্ডিয়াল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শামীম আহমেদ জানান,ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেলের সাথে হাবিবের ঝামেলার কথা তিনি শুনেছেন। তবে কে বা কারা এ ঘটনায় জড়িত তা তিনি জানেন না।
হান্ডিয়াল ইউপি চেয়ারম্যান বে এম জাকির হোসেন জানান,বিকেলে রাসেল ও হাবিব গং এর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় বলে তিনি শুনেছেন। এরপর রাতে এই ঘটনা ঘটে। যা দুঃখজনক। ছাত্রলীগের যেই জড়িত থাক.তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তিনি বলেন,এনিয়ে এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আঃ আলীম জানান,নিহত হাবিব হান্ডিয়াল ইউনিয়ন ছাতলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমানে চাটমোহর সরকারি কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। এ হত্যাকান্ড কারোরই কাম্য নয়। ঘটনার সাথে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন জানান,ধারালো অস্ত্রাঘাতে খুন হয়েছেন হাবিব। আগে থেকেই এলাকায় অধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের কোন্দল ছিল। থানার ওসি সেখ মোঃ নাসীর উদ্দিন জানান,লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হবে। মামলা হওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সকল প্রক্রিয়া চলমান।