সৈয়দপুরে নুসাইবা এন্টারপ্রাইজের মালামাল সরবরাহকারী আবদুল মালেককে হত্যা করে তার লাশ ঢেলাপীর হাটে ফেলে দেয়া হয়। পরদিন ওই ভ্যান চালকের লাশ এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে নীলফামারী থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ১৫ জুন এ ঘটনা ঘটে ঢেলাপীর হাটে। ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার। জানা যায়,ওয়াপদা নতুন হাট এলাকার শহীদুল ইসলামের ছেলে আবদুল মালেক ১ বছর পূর্বে সৈয়দপুর শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের পাশে নুসাইবা এন্টারপ্রাইজের মালিক সবুজ এর দোকানে কাজ করে আসছে। ওই দোকান থেকে সে মালিকের ভ্যানে করে দোকানের মালামাল বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে আসতো। প্রতিদিনের ন্যায় সেদিনও সে মালামাল বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করে দুপুরে বাড়িতে যায়। গোসল না করে আবার বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। রাতে সময় পেরিয়ে গেলেও বাড়িতে না আসায় তার স্ত্রী রোজিনা বেগম ফোনে কথা বলার চেষ্ঠা করেন কিন্তু তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরইমধ্যে দোকান থেকে মালিক সবুজ এসে তার স্ত্রীকে বলে তার স্বামী নাকি ৪০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। টাকা ফেরত না দিলে ভালো হবে না এমন শাসিয়ে যায়। এদিকে সারারাত অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পাওয়ায় বাড়ির লোকজন পড়েন চিন্তায়। সকালে হাটে লাশ দেখে এলাকার লোকজন চিনতে পেরে তার বাড়িতে খবর দেয়। সেখানে গিয়ে তারা লাশ সনাক্ত করে। এ ব্যাপারে এএসপি সার্কেল নীলফামারী সদর রুহুল কুদ্দুস জানান,এখানে কাজ করছে সিআইডি ক্রাইম জোন, ডিবি পুলিশ। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।