লক্ষ্মীপুরের আবারো (আজ) ভোর ৬টা থেকে ৫টি উজজেলায় লকডাউন শুরু হয়েছে। এর মাঝে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, জেলা জেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৬, ৭, ১৫ এবং ৫নং ওয়ার্ডের আংশিক এবং সদর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন দক্ষিন হামছাদী, দালাল বাজার, পাবর্তী নগর, বাঙ্গাখাঁ, কুশাখালী, মান্দারী, ও চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন।
রামগঞ্জ পৌর সভা,রায়পুর পৌর সভা, রামগতি পৌরসভার চর আলেকজান্ডার, কমলনগর উপজেলার চর লরেঞ্চ, চর ফলকন, হাজির হাট ও তোরাবগঞ্জ রেড জোন ইউনিয়ন। গত কয়েকদিন থেকে কোভিড-১৯ এর সংক্রমন আশংকাজনক হার বেড়ে যাওয়ায় এলাকাগুলোকে রেডজোন হিসেবে ঘোষণা করেছে জেলা ও স্থানীয় প্রশাসন এবং জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
এর মধ্যে সোমবার থেকে কমলনগর লকডাউন শুরু হয়েছে।
এবং (আজ) মঙ্গলবার ভোর থেকে জেলা সদরসহ অপর ৫টি উপজেলায় ফের লকডাউন শুরু হয়। এরমধ্যে লক্ষ্মীপুর সদর ও রায়পুর উপজেলা তৃতীয় বার এবং অপর ৩টি দ্বিতীয়বারের মতো লকডাউন চলছে।
এ নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ এবং স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে ব্যাপক প্রচারনা চালানো হয়েছে। এ ব্যাপারটি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জন চন্দ্র পাল এবং সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফ্ফার এর কথা হলে তাঁরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে গত ২৪ ঘন্টায় রামগঞ্জে আরো একজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ ছাড়াও করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকা একটি হাসপাতালে চিকিৎসার পর মারাযায় রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়ন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আ স ম ফয়সাল। ধর্মীয় নিয়ম মেনে রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ পর্যন্ত ৯জনের মৃত্যু রেকর্ড করেছে।
এ ছাড়াও নতুন করে কোভিড -১৯ শনাক্ত হয়েছে আরো ৯জনের শরীরে। এ নিয়ে জেলা মোট আক্রান্ত হয়েছে ৪৪৮জন।