সৈয়দপুরে থানায় মামলা নথিভুক্ত না করায় সংবাদ সম্মেলন করেছে মানিক মিয়া নামে এক বাদি। ১৫ জুন রাতে নীলফামারী জেলা মাইক্রোবাস, জীপকার, পিকআপ উপ কমিটির সৈয়দপুর কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বাদির লিখিত বক্তব্য তার পক্ষে পড়ে শোনান এফাজ উদ্দিন সরকার। বক্তব্যে বলা হয় এসকেএস ফাউন্ডেশন সৈয়দপুর শাখার উদ্যোগে করোনাকালে মানুষের সহায়তার জন্য হাইজিন সামগ্রী পৌর এলাকার প্রায় ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১০ জুন শহরের সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয গলিতে ওই সব সামগ্রী বিতরণ করছিল ওই ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক মনিরুজ্জামান ও তার সহকর্মীরা। বিতরণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল সাবান ও মাক্স। সরকারী নির্দেশনা যেমন সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা ও জটলা না করা। কিন্তু ওই সকল সামগ্রী বিতরণকালে সরকারী ওই নির্দেশনা মানা হচ্ছিল না। তাদের ওই কাজগুলো মেনে চলে বিতরণের কথা বলেন ওই এলাকার বাসিন্দা মানিক মিয়ার অনার্স পড়-য়া ছেলে রেজা। তার এমন কথায় বিতরণকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং এসকেএস ফাউন্ডেশনের কর্মী মনিরুজ্জামান মানিক মিয়ার ছেলে রেজাকে মেরে তার সোনার চেইন, মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে আহত রেজা সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে। সোনার চেইন ও মোবাইল উদ্ধারে মানিক মিযা বাদি হয়ে সৈয়দপুর থানায় মামলা করতে গেলে থানা তার মামলা নথিভুক্ত করণে অনীহা প্রকাশ করে। কি কারণে থানা মামলা নতিভুক্ত করছে না তা রহস্যময়। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মামলা নথিভুক্ত করণের দাবি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মমতাজ আলী,দপ্তর সম্পাদক এফাজ উদ্দিন সরকার,মানিক মিয়া.সানি, জামালীসহ অনেকে। মামলা নথিভুক্ত না করার বিষয়ে ওসি আবুল হাসনাত খান এর সাথে মোবাইলে কথা বলার চেষ্ঠা করা হলে তিনি মোবাইল রিসিফ না করায় মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।