ফুটবল খেলা জানেনা বা বোঝেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। বিশে^র খেলাগুলোর মধ্যে ফুটবল খেলা অন্যতম। আমাদের দেশের সর্বত্রই জনপ্রিয় এই খেলা। কিন্তু যান্ত্রিক এ যুগে মোবাইল আর ইন্টারনেটেই বেশী ব্যস্ত হয়ে পড়েছে যুব সমাজ। এই কারণে হারিয়ে যাচ্ছে ফুটবল খেলার ঐতিহ্য। মোবাইলে গেমস আর ইন্টারনেটের জন্য যখন তরুনরা মাঠ ছেড়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই তাদের মাঠে ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠে বগুড়ার শেরপুরের এক যুবক ইমরান হোসাইন। মাঠে হাজির হন শেরপুর ইউনাইটেড ফুটবল একাডেমি নিয়ে। আর এতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৮৮৫ সালের দিকে কিংকর, বিজন, বিপুল, কালি, বাবন সহ অনেকেই শেরপুরে দাপটের সাথে ফুলবল খেলেন। ওই সময় এতোটা প্রচার না থাকলেও খেলায় আগ্রহী ছিলেন অনেকেই। ১৯৯৫ সালের দিকে ওই প্রজন্ম শেষ হয়ে যায়। ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ফুটবলের আর কোন দাপট ছিলনা শেরপুরে। ১৯৯৮ সালে সাইদুর রহমান, আবদুল হালিম, এনামুল হক, আবদুর রাজ্জাক, আবদুল মতিন, স্বপন মাহমুদ, নিতাই, রেজভী, সায়েম সহ অনেকেই গড়ে তোলে বন্ধন ফুটবল ক্লাব। ২০০৬ সাল পর্যন্ত দাপটের সাথে চলে শেরপুরের ফুটবল খেলা। কিন্তু কর্ম ব্যস্ততার কারণে সবাই এদিক-সেদিক চলে যাওয়ায় শেষ হয় বন্ধন ফুটবল ক্লাবের পথচলা। এরইমধ্যে চলে আসে মানুষের যান্ত্রিক জীবন। মোবাইল গেমস আর ইন্টারনেটে হারিয়ে যায় ফুটবল খেলা। প্রায় অচল হয়ে যায় ঐতিহ্যবাহী শেরপুর ডি, জে খেলার মাঠ সহ উপজেলার কয়েকটি স্কুল মাঠ। প্রায় এগারো বছর পর ২০১৭ সালে যান্ত্রিক জীবন থেকে বের করে তরুনদের মাঠে ফেরাতে আবারো উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ সংকর সাহা বাবনের পরামর্শে ইমরান হোসেন, শ্রাবন রহমান গড়ে তোলে শেরপুর ইউনাইটেড ফুটবল একাডেমী। তাদের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন, রাশেদুল হক, শফিকুল ইসলাম, আহসান হাবিব কানন। ইতোমধ্যে এই ক্লাবটি এনামুল-কিংকর স্মরণে একটি টুর্নামেন্টও সফলভাবে পরিচালনা করেন। তাছাড়া নন্দীগ্রামে একটি বড় টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়নসহ বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেন। এই ক্লাবের উন্নতির জন্য সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও নির্বাহি কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ বলেন, ফুটবল একটি জনপ্রিয় খেলা। যান্ত্রিক এই যুগে তরুন যুব সমাজ খেলা ছেড়ে ধংশের মুখে যাচ্ছে। যুব সমাজ খেলায় মনোনিবেশ থাকলে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াবেনা। শেরপুর ইউনাইটেড ফুটবল একাডেমি তরুনদের মাঠে ফেরাতে কাজ করছে জেনে খুশি হয়েছি। তাদের উন্নতির জন্য উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।