করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন লালমনিরহাট পৌরসভার সাবেক কমিশনার সেকেন্দার আলীর স্ত্রী আলেয়া বেগম (৫০)।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহতের পরিবার জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর, স্বর্দ্দি, কাশিসহ নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থতা অনুভব করলে বাড়িতে চিকিৎসা নেন সাবেক কমিশনার ও তার স্ত্রী আলেয়া বেগম। করোনা সন্দেহে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নমুনা সংগ্রহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কমিশনার সেকেন্দার আলীর রিপোর্ট পজিটিভ আসে এবং স্ত্রীর ফলাফল অপেক্ষামান রয়েছে।
এরই মধ্যে সোমবার (১৫ জুন) বিকেলে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে আলেয়া বেগমকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে মারা যান তিনি।
মরদেহ বুধবার সকালে লালমনিরহাট পৌছুলে এলাকায় বেশ অতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মরদেহ বাড়ির পাশে রাখা হলে সংক্রমনের ভয়ে সেখানে কেউ ভিরে নি।
স্থানীয়রা মনে করছেন স্বামী যেহেতু করোনায় আক্রান্ত তাই তার স্ত্রীও করোনায় মৃত্যু বরন করেছেন। ফলে ওই এলাকায় সচেতনতার পাশাপাশি আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মৃত আলেয়া বেগমের ছেলে রংপুর রোকেয়া কলেজের শিক্ষক তিনিও করোনায় আক্রান্ত। বর্তমানে তিনি রংপুরের বাসায় অবস্থান করছেন। ছেলেকে দেখতে গিয়েই বাবা-মা করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন (সিএস) ডা. নির্মলেন্দু রায় জানায়, রংপুরে মারা যাওয়া আলেয়া বেগমের করোনা রিপোর্ট এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে আসেনি। তবে তার স্বামী সাবেক কমিশনার সেকেন্দার আলী করোনা পজিটিভ হয়ে হোম আসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। করোনা উপসর্গ নিয়ে এই মৃত্যুসহ দুইজনের মৃত্যু হলো এ লালমনিরহাট জেলায়।
করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে লালমনিরহাট জেলাবাসীকে আহবান জানান তিনি।
এখন পর্যন্ত লালমনিরহাটে মোট ৬৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৮ জন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরলেও বাকীরা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা দাড়ালো দুইয়ে।