ভৈরবে বুধবার ভোরে নৌকায় বোঝাই করা ৫ গরু সহ ৫ ডাকাতকে ধাওয়া করে জনতা গণপিটুনি দিয়ে, ধরে আটক করে ভৈরব নৌ-থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে । এ সময় ডাকাতদের নৌকায় ছুরি,রামদা সহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয় । পরে গরুর মালিক কৃষক আ: রহিম ও তার মেয়ে মমতা বেগমের কাছে বাজিতপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে লুট হওয়া গরু বুঝিয়ে দেয়:ভৈরব নৌ-থানা পুলিশ ।
এলাকা বাসী জানায়, প্রথমে জেলেরা ভোরে মেঘনা নদী দিয়ে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থেকে ভৈরবের উদ্দেশ্যে আগানাগর ইউনিয়নের লুন্দীয়ার চরপাড়া এলাকায় ডাকাত দলের নৌকায় দেখতে পায় । পরে জেলেরা সাথে সাথে গ্রমবাসীকে খবর দেয় । লুন্দীয়া,চরপাড়া ও খলাপাড়া গ্রমের এলাকাবাসী অন্তত দশটি নৌকা নিয়ে ডাকাত দলকে ধাওয়া করে। এ সময় ডাকাত দলের সাথে এলাকাবাসীর পাথর ও ইটের সুরকি দিয়ে ঢিল ছুড়াঁ-ছুঁড়ি হয় । এক পর্যায়ে লোকজন ডাকাত দলের নৌকাকে তারা আটকাতে সক্ষম হয় ।
এসময় নৌকায় বোঝাই করা ২টি গরু ও ৫ ডাকাতকে জনতা গনপিটুনি দিয়ে আটক করে নৌ-থানার উপ-পরিদর্শক রাসেল মিয়ার কাছে এলাকাবাসী সোপর্দ করে ।
আটককৃত ডাকাতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লুন্দিয়া গ্রামের ১টি বাড়ীতে পুলিম অভিযান চালিয়ে আরো ৩টি গরু উদ্ধার করে ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের বরচর গ্রামের আলতু মিয়ার পুত্র বকুল মিয়া ( ৩০),ভৈরবের কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের মিরারচর গ্রামের অহাব মিয়ার পুত্র সাইফুল ইসলাম ( ২৮) ,ব্য্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার জয়সিদ্ধি গ্রামের হাজি উদু মিয়ার পুত্র সুলতান মিয়া ( ৩০) , একই জেলার নবীনগর উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামের মৃত দুদু মিয়ার পুত্র ফারুক মিয়া ওরফে নাসির ( ৩২) ও নরসিংদীর ভেলানগরের হারুন মিয়ার পুত্র ফারুক মিয়া ।
নৌ-পুলিশ জানায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার শাহপুর গ্রামের কৃষক আঃ রহিমের বাড়ীর গোয়াল ঘর থেকে গরু গুলো লুট করে রাতের আধারে নৌকাযোগে ভৈরবে আনার পথে পুলিশ গরুসহ তাদের গ্রেফতার করে ।
এ বিষয়ে ভৈরব নৌ-থানার ওসি মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকুতরা আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য । এর আগে এ চক্রের ১০ জনকে ১০ টি গরুসহ আমারা গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করি ।
এ বিষয়ে বাজিতপুর থানায় আঃ রহিম বাদী হয়ে একটি মামলা রুজু করেছেন বলে জানা গেছে।