করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন ঘোষণায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে স্থলপথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য দীর্ঘসময় ধরে বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বেনাপোল-পেট্রাপেল বন্দর দিয়ে বিকল্প পথ হিসেবে রেলপথে ভারত থেকে কাঁচামাল আমদানিতে ব্যবসায়ীরা আগ্রহী হয়ে উঠেছে। গত ১৫ দিনে বেনাপোল রেলপথে ভারত থেকে ৩৫টি চালানে ২৭ লাখ ৫ হাজার ৯০৬ দশমিক ৭০ ডলার মূল্যে ২০ হাজার টন খাদ্যদ্রব্য জাতীয় কাঁচামাল আমদানি হয়েছে। ওসব পণ্য থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি রেল বিভাগেরও রাজস্ব এসেছে। আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, আদা, হলুদ, জিরা, শুকনা মরিচ ও ধানবীজ। বেনাপোল বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রেলপথে ভারত থেকে কাঁচামাল আমদানির সুযোগে এদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। লকডাউনের কারণে ভারত বিপুল পরিমাণ আমদানি কাঁচামাল আটকে ছিল। তাতে ব্যবসায়ীদের বিপুল অংকের টাকা লোকসান হয়। পরে ব্যবসায়ীরা কাস্টমসের পরামর্শে আবেদন জানালে রেলপথে আমদানির হুকুম পায়। আর রেলপথে আমদানি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা লোকসান থেকে বাঁচলো। সূত্র জানায়, ভারত থেকে সামনে রেলপথে কাঁচামাল আমদানি হতো না। অথচ এখন রেলপথ দিয়ে কাঁচামাল পণ্যের আমদানি শুরু হওয়ায় রেলের রাজস্ব আহরণ বেড়েছে। বিগত ১৫ দিনে বেনাপোল রেলপথে পণ্য আমদানিতে রেল বিভাগের ৬৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা রাজস্ব উপার্জন হয়েছে। এদিকে এ প্রসঙ্গে বেনাপোল কাস্টম হাউজের রাজস্ব কাজের ব্যাপারে প্রধান ব্যক্তি নঈম মীরন জানান, করোনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে স্থলপথে খাদ্যদ্রব্য জাতীয় কাঁচামাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। বিশেষ অনুমতিতে রেলপথে এখন ওসব কাঁচামাল আমদানি শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত পণ্য মুক্তি নিতে পারে সেজন্য কাস্টমস শাসনকর্তা পণ্য খালাসে পেশা করছে।