ভৈরবে ৩০ কেজি গাজাঁ সহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্প। বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব নাটাল টোলপ্লাজা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঢাকাগামী সুরমা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশী চালিয়ে সিলেটের ওসমানীনগরের গজিয়া গ্রামের মৃত আশিক মিয়ার পুত্র আল আমিন (৩৪), একই জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার ছত্রিশ গ্রামের মৃত আঃ আহাদের পুত্র মোঃ আবদুল কাদের লিটন ( ২৬) এবং হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কান্দিগাওঁ গ্রামের মোঃ আফসার মিয়ার পুত্র সিজু মিয়া (২৭) ৩ মাদক ব্যবসায়ী কে আটক করা হয়। পরে আটককৃত যাত্রীবাহী বাসটি আসামীদের তল্লাশী করে ৩০ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা, মাদক বিক্রর নগদ ৩৬০০/- টাকা জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত আলামতের আনুমানিক মূল্য ৫৯,০৩,৬০০/- টাকা। আটককৃতদের বিরুদ্ধে র্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য আইনে ভৈরব থানায় মামলা দায়ের করেছে।
র্যাব জানায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র নিয়মিত হবিগঞ্জ জেলার রতনপুর এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে যাত্রীবাহী বাসে করে ঢাকা’সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারি/খুচরা বিক্রয় করে থাকে। ওই তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ওই মাদক ব্যবসায়ী চক্রের উপর র্যাবের নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী চালানো হয় এবং তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী হবিগঞ্জ জেলার রতনপুর এলাকা হতে একটি যাত্রীবাহী বাস সুরমা এক্সপ্রেস লিঃ হলুদ সবুজ রংয়ের ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৯০৫৫ বাসে করে মাদকদ্রব্যের একটি বড় চালান ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল নাটালের মোড় তল্লাশী চৌকি স্থাপন করে যাত্রীবাহী বাসটি তল্লাশী চৌকির কাছে এলে বাসটিকে থামানোর সংকেত দিলে যাত্রীবাহী বাসটি তল্লাশী চৌকির কাছে থামালে তাদের আটক করা হয়। এ বিষয়ে র্যাব -১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে র্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেছে।