বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বিধি লংঘন করে একের পর এক বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বিশ^বিদ্যালয়ের আইনের তোয়াক্কা না করেই রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়া হলে শিক্ষকদের মাঝে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এর আগেও আইন লঙ্ঘন করে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ এবং গণযোগযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র বিরুদ্ধে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন ২০০৯ (২০০৯ সনের ২৯ নং আইন ) এর ২৮(৩) বিধি মোতাবেক- ‘যদি কোন বিভাগে অধ্যাপক না থাকেন তাহা হইলে ভাইস-চ্যান্সেলর সহযোগী অধ্যাপকের মধ্যে হইতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পালাক্রমে একজনকে বিভাগীয় প্রধান নিযুক্ত করিবেনঃ তবে শর্ত থাকে যে, সহযোগী অধ্যাপকের নিম্নের কোন শিক্ষককে বিভাগীয় প্রধান পদে নিযুক্ত করা যাইবে নাঃ আরও শর্ত থাকে যে, সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদার কোন শিক্ষক কোন বিভাগে কর্মরত না থাকিলে, সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রবীণতম শিক্ষক উহার প্রধান হইবেন।’
কিন্তু সম্প্রতি রসায়ন বিভাগ এবং এর আগে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের ক্ষেত্রে এই আইনের কোন তোয়াক্কাই করা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রসায়ন বিভাগে একজন সহযোগী অধ্যাপক থাকা সত্ত্বেও সহকারী অধ্যাপককে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যেখানে বিশ^বিদ্যালয় আইন অনুযায়ী সহযোগী অধ্যাপক ড. বিজন মোহন চাকী বিভাগীয় প্রধান হওয়ার কথা থাকলেও গায়েবী কারণে তাকে নিয়োগ দেয়নি কর্তৃপক্ষ। এর আগে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ এবং ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগেও এই আইনের কোন তোয়াক্কাই করা হয়নি।
অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগে তিন বছরের জন্য বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়ার আইন ও রীতি থাকলেও উপাচার্য গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান নিয়োগে নিয়ম ভঙ্গ করে দুই বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করেন। এ ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও নারীর প্রতি অবিচার উল্লেখ করে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছিলো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু কালাম মো: ফরিদ উল ইসলাম বলেন, এই অনিয়মের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিধি বা আইন মোতাবেক বিশ^বিদ্যালয়ের সকল নিয়োগ প্রদানের আহবানও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে একাধিকবার তাদের মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলে তারা কেউ ফোন রিসিভ করেনি।