দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়ায় ২ সন্তানের জননী এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে দেবহাটা থানা পুলিশ নিহত ঐ গৃহবধুর লাশ তার স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে তার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পারুলিয়া কাশেম পার্ক এলাকায়। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর ঢালিপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলী সরদারের কন্যা ফরিদা খাতুনের সাথে ১২ বছর আগে বিয়ে হয় পারুলিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুত্র বাবুরালীর সাথে। বিয়ের পরে তাদের সাংসারিক জীবনে দুইটি সন্তান হয়। কিন্তু স্মামী বাবুর আলী মাদকাসক্ত হওয়ায় সংসারে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ফরিদা মাতৃত্বকালীন ভাতার চেক পায়। শুক্রবার ভোর বেলা এই চেকের বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয় অশান্তি। পরে সকালে ফরিদার স্বামী বাবুরালী সব যায়গায় প্রচার দেয় উচ্চ রক্তচাপে তার স্ত্রী মারা গেছে। এ সময় বাবুরালী শশুর বাড়িতেও খবর দেয় তার স্ত্রী উচ্চ রক্তচাপে মারা গেছে। পরে ফরিদার বাবার বাড়ি থেকে সবাই পারুলিয়া কাশেম পার্ক সংলগ্ন বাবুরালীর বাড়িতে চলে এসে তাদের কন্যা ফরিদার গলায় দাগ এবং ঘরের মধ্যে নিচু একটি বাশের আড়ায় ঝুলন্ত ওড়না দেখতে পায় । বিষয়টি দেখে তাদের সন্দেহ হলে তারা দেবহাটা থানা পুলিশকে খবর দেয়। দেবহাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তার স্বামী বাবুরালীকে গ্রেফতার করে এবং নিহত ফরিদার লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা পাঠায়। দেবহাটা থনার অফিসার ইনচার্জ ওসি (তদন্ত) উজ্জ্বল কুমার মৈত্র গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে এবং নিহত গৃহবধুর লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ফরিদার ভাই তরিকুল বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় ১৯-০৬-২০২০ ইং তারিখে ০৮ নং ইউডি মামলা দায়ের করেছেন জানিয়ে ওসি (তদন্ত) জানান, স্বামীকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে এবং ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।