টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেটের সহযোগীতায় সড়ক বিভাগের পয়ত্রিশ বছরের পুরনো ৫টি সরকারি মেহগনি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে টাঙ্গাইলের সাবালিয়া এলাকার মা-মনি এন্টরপ্রাইজ নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধীকারি সোহেল রানা রিপনের বিরুদ্ধে। জানা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেটকে ম্যানেজ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের টাঙ্গাইল - দেলদুয়ার ভায়া জামুর্কী-পাকুল্যা রাস্তায় বিভিন্ন প্রজাতির বহু মুল্যবান গাছ রয়েছে। দেলদুয়ার অংশের ৬৩টি গাছ কর্তনের কার্যাদেশ দেখিয়ে ইতোমধ্যে ১০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৫টি মেহগনি গাছ কেটে ফেলে প্রতিষ্ঠানটি। ৩টি গাছ নেয়ার পর কার্যাদেশে অস্পষ্টতা থাকায় বাকি দুইটি গাছ নিতে বাধা প্রদান করে উপজেলা পরিষদ। এদিকে উপজেলা পরিষদও দাবি করছে গাছগুলো তাদের। বিষয়টি নিয়ে ১৫ জুন উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। উপজেলা পরিষদের দাবি ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ এবং এনজিও প্রতিষ্ঠান প্রশিকার মাধ্যমে এলাকার কিছু উপকারভোগী দেলদুয়ার সদর ইউনিয়ন এলাকায় দেলদুয়ার পাকুল্লা সড়কে সামাজিক বনায়নের আওতায় গাছ বপন করেন। কিন্তু সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাভূক্ত হওয়ায় সড়ক সম্প্রসারণ কাজের বাধা সৃষ্টিকারী উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় কোটি টাকা মূল্যের গাছ অপসারণের কার্যাদেশ দেয়। কিন্তু কার্যাদেশে কোন গাছগুলো অপশারণ করতে হবে তা চিহ্নিত করা নেই। ঠিকাদার তার পছন্দমত মূল্যবান গাছগুলো কেটে নিচ্ছে। এতে এলাকার উপকারভোগীদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং পুরনো গাছগুলি অপসারণ করায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এদিকে শুক্রবার কর্তন করা দুইটি গাছ ট্রাকে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ গাছগুলি উদ্ধার করে। পরে উপজেলা পরিষদের সামনে উপজেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে রাখা হয়। অভিযোগ প্রসঙ্গে মা-মনি এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধীকারি সোহেল রানা রিপন বলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের যথাযথ নিয়মে কার্যাদেশ নিয়েই গাছগুলি কাটা হচ্ছে। কিন্তু এখানে উপজেলা পরিষদ ও এলাকার কিছু উপকারভোগী দাবি করছে গাছগুলি তাদের। এ নিয়েই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। জানতে চাইলে দেলদুয়ার থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ এ.কে সাইদুল হক ভূইয়া বলেন গাছ গুলো উপজেলা প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার জানান এই ব্যপারে সওজ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি ভূমির মালিক যদি তারা হয় তাহলে তারা গাছ নিয়ে নিবে। তবে দেলদুয়ার থেকে তারা যে কয়টা গাছ কাটবে সেগুলি আগে মার্ক করতে হবে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফ জানান উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি গাছ চিহ্নিত এবং ইস্টিমেট ছাড়া গাছ কাটতে দেয়া হবে না।