গাজীপুরের কালীগঞ্জে ২৭ বছরের প্রতিবন্ধী এক যুবতীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে মো. সোহেল মিয়া (২২) নামে এক বখাটে যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। রোববার (২১ জুন) বিকাল সারে তিনটার দিকে বাড়ির পাশে তুমলিয়া মিশন ব্রিজ সংলগ্ন একটি পাট খেতে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। নির্যাতনের শিকার যুবতী তুমুলিয়া গ্রামের কামাল হোসেনের মেয়ে। সে মানসিক প্রতিবন্ধী। ধর্ষক মো. সোহেল মিয়া একই গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে।
থানা পুলিশ ও এজহার সূত্রে জানা যায়, রোববার (২১ জুন) বিকাল সারে তিনটার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার তুমলিয়া গ্রামের মো. কামাল হোসেনের মানষিক প্রতিরন্ধি মেয়ে তুমলিয়া মিশন স্কুলের মাঠে ঘুরতে যায়। এ সময় একই গ্রামের প্রতিবেশী আফাজ উদ্দিনের বখাটে ছেলে মো. সোহেল (২২) তার হীনকাম লালসা চরিতার্থ করার জন্য বান্ধাখোলা গ্রামের তুমলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে পাট খেতে নিয়া জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। প্রতিবন্ধি মেয়ে বাড়ীতে এসে বিষয়টি সবাইকে ধর্ষণের বিষয়টি অবগত করেন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে ধর্ষিতার পিতা কামাল হোসেন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কালীগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযোগ তদন্ত করে ধর্ষণের আলামত পাওয়ায় ধর্ষক মো. সোহেলকে আটক করে কালীগঞ্জ থানায় ১৬(৬)২০ নং মামলা দায়ের করেন।
ধর্ষিতার পিতা মো. কামাল হোসেন বলেন, রোববার (২১ জুন) বিকাল সারে তিনটার দিকে আমার প্রতিবন্ধি মেয়ে মিশন স্কুলের মাঠে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে আফাজ উদ্দিনের বখাটে ছেলে মো. সোহেল (২২) আমার মেয়েকে বান্ধাখোলা গ্রামের তুমলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে পাট খেতে নিয়া জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমার প্রতিবন্ধি মেয়ে বাড়ীতে এসে বিষয়টি আমাদের জানায়। পরে আমরা তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাই।
কালীগঞ্জ থানার কর্তব্যরত ডিউটি কর্মকর্তা এস আই নেছার উদ্দিন বলেন, ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার প্রেক্ষিতে তদন্ত করে সত্যতা প্রমাণ পাওয়ায় আসামি সোহেলকে আটক করে তার বিরুদ্ধে থানায় ১৬(৬)২০ নং মামলা দায়ের হয়েছে।