রংপুরে ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আরও দশজন। এদের মধ্যে সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ রয়েছেন। এ নিয়ে এই হাসপাতাল থেকে মোট ১৩৯জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরলেন।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) দুপুরে করোনাজয়ী নতুন দশজনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। এ সময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ চিকিৎসকরা ফুল ও চিঠির মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি করতালি দিয়ে তাদের বিদায় জানান।
ছাড়পত্র প্রাপ্ত ব্যাক্তিরা হলেন; বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন রংপুরের সাবেক কোষাধ্যক্ষ, বর্তমান কার্যকরী সদস্য দৈনিক যুগের আলোর ফটো সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আফজাল (৫০), রংপুর শহরের বাসিন্দা দুলু মিয়া (৩৫), রমজান আলী (৩৫), আহসান আলী (৫১), ফেরদৌস (৬৪), পারভিন সুমি (৩০), জাহিদুল (২৮), মিঠাপুকুর উপজেলার হাসানুর রহমান ও নাজমা বেগম এবং বগুড়া শহরের বাসিন্দা আবদুস সালেক (৫৭)।
রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এস.এম নূরুন নবী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি জানান, দুলু মিয়া গত ১১ জুন, হাসানুর, রমজান ও আসাদুজ্জামান গত ১২ জুন, নাজমা বেগম গত ১৩ জুন, আহসান আলী ও জাহিদুল গত ১৩ জুন, ফেরদৌস ও পারভিন সুমি ১৪ জুন এবং আবদুল সালেক গত ১৮ জুন ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
তারা সবাই এখন পুরোপুরি সুস্থ্য ও করোনামুক্ত। তাদের শরীরে করোনা সংক্রামিতের কোনো উপসর্গ না থাকায় এবং পরপর দুইবার নমুনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ায় ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে একজন বগুড়া শহরের এবং বাকিরা রংপুর জেলার বাসিন্দা। এরআগে গত রোববার (২১ জুন) একজন চিকিৎসকসহ আরও পাঁচজনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
উলেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালটি চালু হবার পর থেকে (২২ জুন পর্যন্ত) ১৮১ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে আজকের দশ জনসহ ১৩৯ জন সুস্থ্যতার ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখানে মারা গেছেন পাঁচজন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের ৩৩ জনের মধ্যে পাঁচজন আইসিইউ-তে ভর্তি রয়েছেন বলেও তিনি জানান।