জুয়া ও নেশা সেবনের প্রতিবাদ করায় পারভিন আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধুকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে পাষন্ড স্বামী মইনুল ইসলাম। স্থানীয়রা উদ্ধার করে গৃহবধু পারভিন আক্তারকে চিকিসার জন্য বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার কাছারি কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের কাছারি কোয়ালীাড়া গ্রামে। ওই ঘটনায় গৃহবধু পারভিন আক্তার বাদী হয়ে পাষন্ড স্বামী মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
থানার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাছারি কোয়ালীপাড়া গ্রামের দিন মজুর অছিমুদ্দিনের কন্যা পারভিন আক্তারের সাথে প্রায় ১২ বছর পূর্বে একই গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে মইনুল ইসলামের বিবাহ হয়। বিয়ের পরে তাদের ঘরে দুইটি সন্তানের জম্ম নেয়। বেশ কিছু দিন পূর্ব থেকে মইনুল ইসলাম এলাকার কতিপয় ব্যক্তিদের সাথে জুয়া ও নেশা সেবনে জড়িয়ে পড়ে। স্ত্রী পারভিন আক্তার নিষেধ করলে মইনুল ইসলাম তাকে শারীরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করে। সন্তানদের মুখের দিক তাকিয়ে থেকে গৃহবধু পারভিন আক্তার স্বামী সকল নির্যাতন সহ্য করে যায়। গত ২২ জুন স্বামী মইনুল ইসলাম জুয়া ও নেশা সেবন করে বাড়িতে আসলে স্ত্রী পারভিন আক্তার প্রতিবাদ করে। স্ত্রী প্রতিবাদ করায় রাৎে স্বামী মইনুল ইসলাম স্ত্রী পারভিন আক্তারকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। সন্তানদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে পাষন্ড স্বামীর হাত থেকে পারভিন আক্তারকে উদ্ধার করে বাগমারা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। ওই ঘটনায় পারভিন আক্তার বাদী হয়ে স্বাশীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দখিল করেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, পারভিন আক্তার নামের নির্যাতিত এক গৃহবধুর লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।