কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার ছাতিরচর ইউনিয়নের পূর্ব উত্তর পার্শ্বে মেঘনা, ভ্রমপুত্র ও কালী নদীর ঢেউয়ে গত কয়েক বছর ধরে এই গ্রামের শতশত বাড়ী বর্ষামৌসুমে নদীতে ভেঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে। এই ইউনিয়নে অনেক গরিব লোকেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে জীবিকা নির্বাহের জন্য ভ্রাম্যমান পেশায় জরিয়ে পড়েছেন। কেহ আবার এক মুটু ভাতের জন্য বিভাগীয় শহরে ভিক্ষাবৃত্তি বেচে নিয়েছেন। এদিকে সিংপুর ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো ধনু নদীর করাল ¯্রােতে ৪০০-৫০০শত বাড়ী ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া সিংপুর বাজার থেকে পূর্বহাটির প্রায় কয়েক হাজার গ্রামবাসীকে সেতুর অভাবে বাশেঁর সাকু দিয়ে প্রায় ৫০০ গজ ঝুকিঁ নিয়ে পাড়াপাড় হতে দেখা গেছে। গতকাল সরেজমিন গেলে নাম প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, নির্বাচনের সময় বিভিন্ন দলের সংসদ সদস্য প্রাথীরা শুধু গ্রাম গুলো উন্নয়নের আশ্বাস দিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কেহ বিলীন হওয়া বাড়ীঘর, প্রডাকশন ওয়াল ও এপাড়ওপাড় পাড় হওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো সেতু নির্মান করেননি বলে দাবি করেন। নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুদ্দিন মুন্না জানান, তাকে কেহ এই বিষয়ে অবগত করেননি।