রংপুর সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপুর্ন কাগজপত্র মোবাইল ফোনে ধারন করে বাইরে পাচারের অভিযোগে সাসপেন্ড হওয়া প্রধান হিসাব রক্ষনকর্মকর্তা আবদুল হাকিম মিয়ার বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটির তাদের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে তদন্ত কমিটির কাছে হাজির হয়ে তার লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন।
সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন দূর্নিতী বা অনিয়মের ব্যাপারে তার জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা আবদুল হাকিম মিয়ার বিরুদ্ধে অফিসের গুরুত্বপুর্ন নথি ও কাগজপত্র নিজের মোবাইল ফোনে ছবি তুলে বাইরে পাচার করার সুনিদৃষ্ট অভিযোগ পাবার পর গত ১৩ মার্চ্চ সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। যার স্মারক নম্বর ১৩১৯ তারিখ ১৩/০৩/১৯ইং। তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দ্দেশ দেন মেয়র। এরপর ১৯/০৩/১৯ইং তারিখে কারণ দর্শানোর জবাব সন্তোষ জনক না হওয়ায় সিটি মেয়র তাকে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার আদেশ দেন। সেখানে উল্লেখ করেন মেয়র অফিসের গুরুত্বপুর্ন নথি মোবাইল ফোনে ধারন করার বিষয়টি অস্বিকার করলেও প্রধান হিসাব রক্ষন কর্মকর্তার জবাব সন্তোষ জনক না হওয়ায় এবং তার অপকর্মের প্রমান সিটি করপোরেশনের কাছে থাকার কথা উল্লেখ করেন মেয়র। যার স্মারক নম্বর ১৪৯৯ তারিখ ৭/০৪/১৯ইং। এ ঘটনায় সিটি করপোরেশনের সচিবকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করার আদেশ দেন মেয়র যার স্মারক নম্বর ১৭৯৭ তারিখ ৭/০৫/১৯ইং। পরবর্তী কালে তদন্ত কমিটি পরিবর্তন করে চলতি বছরের ৯ জুন তারিখে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেনকে আহ্বায়ক এবং আবু জাফর মোঃ সালেহ নির্বাহি প্রকৌশলীকে সদস্য করে দু সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন মেয়র। যার স্মারক নম্বর ৬৩৫ তারিখ ৯/০৬/২০ইং। তদন্ত কমিটি গত ১৭/০৬/২০ইং তারিখে অভিযুক্ত প্রধান হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা আবদুল হাকিম মিয়াকে ২২/০৬/২০ইং তারিখে স্বশরীরে হাজির হয়ে তার লিখিত বক্তব্য প্রদান করার জন্য নোটিশ প্রদান করে। যার স্মারক নম্বর ১৯২ তারিখ ১৭/০৬/২০ইং। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে অভিযুক্ত প্রধান হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা স্বশরীরে তদন্ত কমিটির কাছে হাজির হয়ে তার লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রধান তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেনের সাথে মঙ্গলবার যোগাযাযোগ করা হলে তিনি বলেন সাসপেন্ড হওয়া প্রধান হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা আমাদের কাছে তার লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা তদন্ত কমিটি তার বক্তব্য পরীক্ষা করে প্রতিবেদন মেয়র মহোদয়ের কাছে প্রদান করবেন বলে জানান। তবে ওই কর্মকর্তা কি লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন সে সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।