ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির (এফসিসিআই) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুৎসা রটনা ও অপপ্রচারের তিব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে বুধবার সকালে এফসিসিআই এর কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীগণ এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, এফসিসিআই এর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ফরিদপুরের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি ফরিদপুরের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী সাবেক পৌর কমিশনার মরহুম শেখ আলাউদ্দিন সাহেবের পুত্র। পারিবারীকভাবেই তিনি বিগত ৯৬ সাল হতে নানান ব্যবসা-বানিজ্যে যুক্ত রয়েছেন।
তিনি ঠিকাদারী কর্মকান্ডের পাশাপাশি আমদানি ও রফতানি কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত। তার প্রতিষ্ঠানে মালিকানাধীন শ্রাবণী কনস্ট্রাকশন, আলাউদ্দিন ট্রেড ও অট্রো ব্রিকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা ও কর্মচারী মিলিয়ে ২ শতাধিক জনবল জড়িত রয়েছেন। সরকারের নিয়মাবলী মেনে একাধিকবার জেলার শীর্ষ আয়করদাতা হয়েছেন। যার মাধ্যমে তিনি দেশের চলমান উন্নয়নযজ্ঞে অবদান রেখে চলেছেন।
বর্তমানে তিনি এফসিসিআই এর পাশাপাশি জেলা অটো ব্রিকস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া ফরিদপুর মুসলিম মিশন, ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতাল, ফরিদপুর ডায়বেটিক সমিতি, রেডক্রিসেন্ট, জসীম ফাউন্ডেশন, শিল্পকলা একাডেমীসহ নানাবিধ সামাজিক প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য হিসেবে জড়িত রয়েছেন। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় তার অবদান রয়েছে।
আমরা মনে করি, দেশ ও সমাজের একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি তাঁর অবস্থান হতে ভুমিকা রেখে চলেছেন। ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান ইতিপূর্বে ৯ বছর যাবত এফসিসিআই এর পরিচালক ছিলেন। এরপর তিন বছর তিনি এফসিসিআই এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে ঢাকায় অবস্থানরত প্রবীর শিকদার উপরোল্লখিত সকল পরিচয় গোপন করে সিদ্দিকুর রহমানের নামে একপেশেভাবে নানাবিধ বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই।
প্রবীর শিকদারের এইসকল অপপ্রচার ডিজিটাল আইনের পরিপন্থি। তার বিরুদ্ধে এখনও আদালতে ডিজিটাল আইনে মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু আইনের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তিনি এখনো নিবৃত্ত হননি। সমাজের স্থিতিশীলতার স্বার্থে প্রবীর শিকদারের এহেন অপপ্রচারের বিষয়ে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।