করোনা পরিস্থিতির কারণে গত কয়েক মাস ধরেই বাসায় অবস্থান করছেন চলতি প্রজন্মের চিত্রনায়িকা অমৃতা খান। এই সময়ে বাসা থেকে তেমন একটা বের হননি তিনি। শুটিং শুরু হলেও এখনই তাতে অংশ নেয়া নিরাপদ মনে করছেন না অমৃতা। অবশ্য বাসাতে থেকেই কয়েকটি লাইভে তিনি অংশ নিয়েছেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পড়াশোনা করছেন অমৃতা। তার জন্য অনলাইন ক্লাসেও অংশ নিচ্ছেন প্রতিদিন। এ চিত্রনায়িকা বলেন, এখন কাজ করাটা একেবারেই নিরাপদ নয়। তাই কাজ করছি না। বরংচ বাসায় থেকে লাইভ করছি টুকটাক। সামনেই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা। তার জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। এর বাইরে নেটফ্লিক্সে সিনেমা দেখছি। এভাবেই সময় চলে যাচ্ছে। এদিকে নিজের সিদ্ধান্তের কথা মানবজমিনকে জানিয়েছেন অমৃতা খান। তিনি পড়াশোনা ও ব্যবসাতেই মনযোগী হতে চান সামনে। এ বিষয়ে এ নায়িকা বলেন, আমি পড়াশোনার পাশাপাশি সামনে ব্যবসায় মন দেবো। কারণ মিডিয়ার ওপর নির্ভর আমি আগেও ছিলাম না, এখনো নেই। সামনেও থাকতে চাই না। আর যে অবস্থার তৈরি হয়েছে তাতে আমার মনে হয় চলচ্চিত্রের অবস্থা সহসাই ঠিক হচ্ছে না। হলেও অনেক সময় লাগবে। করোনা পরিস্থিতিই কবে নাগাদ ঠিক হয় তারও ঠিক নেই। তাছাড়া চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা একটু সমস্যার মধ্যেই আছি। সেটি কেমন? অমৃতা বলেন, আসলে সমস্যা অনেক আছে। এফডিসির পরিচালকেরা আপডেট হচ্ছেন খুব কম। তাছাড়া নাটকের পরিচালকেরা ছবি নির্মাণ করলেও তারা নাটকের শিল্পীদেরই নিচ্ছেন। সেদিক থেকে আমরা যারা চলচ্চিত্রে কাজ করতে এসেছি, তারা যেমন গল্প, চরিত্র ও আধুনিক সিনেমায় কাজ করতে এসেছি তারা সেটা পারছি না। এটা বড় একটি সমস্যা। তারপরও পরিস্থিতি ঠিক হলে কাজ করবো। তবে মিডিয়ানির্ভর থাকতে চাই না। বরংচ ব্যবসাকেই বেশি প্রাধান্য দেবো। এরইমধ্যে প্রস্তুতি চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবার অপেক্ষায় আছি। এরপরই কাজে নেমে পড়বো। অমৃতা আরো বলেন, করোনার কারণে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে প্রতিটি সেক্টরকেই কামব্যাক করতে সময় লাগবে। তাছাড়া এর মধ্যে একটা বড় অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়ে গেল সবার। এই ক্ষতি কবে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব তা জানা নেই। তবে যারা বেশি সংকটে পড়েছেন আমাদের সবারই যার যার অবস্থান অনুযায়ী তাদের পাশে থাকা উচিত।